বেরোবি : শাস্তি পেলেন শিক্ষক ও তাঁর বোন
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ছোট বোন ভর্তি পরীক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষা কমিটিতে থাকায় প্রভাষক ইসমাইল হোসেনকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বোনের পরীক্ষার ফল বাতিল করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীর সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার বিকেলে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয়ে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা গণিত বিভাগের প্রভাষক ও ভর্তি কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেনের ছোট বোন ইহতিশানুন নিসার পরীক্ষা বাতিল করা হয়। সে সঙ্গে ইসমাইল হোসেনকে পরবর্তী পাঁচ বছর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, প্রিন্টিং এবং প্যাকেজিং-সংক্রান্ত সব কাজ থেকে বিরত রাখারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষকের নিকটাত্মীয় ভর্তি পরীক্ষার্থী হলে ভর্তি, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং মডারেশন কমিটিতে ওই শিক্ষকের থাকা যায় না। কিন্তু এ নিয়ম লঙ্ঘন করে ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান অনুষদের তথা ‘ডি’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মডারেশন বোর্ডে ছিলেন প্রভাষক ইসমাইল হোসেন।
এ ছাড়া এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদুপায় অবলম্বনকারীদের সঙ্গে যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে বা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তার বস্তুনিষ্ঠতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আর এম হাফিজুর রহমান, সদস্য হিসেবে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিত্য ঘোষ এবং সদস্যসচিব হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর সিরাজুদ্দৌলা দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে বেরোবির সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদুল আলম রনি এনটিভিকে বলেন, ‘প্রভাষক ইসমাইল হোসেন নিয়মের ব্যাপারে অবগত ছিলেন না বলে এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটেছে।’
তথ্যানুসন্ধান কমিটির বিষয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার এনটিভিকে জানান, কারো বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।