জটিলতা ভোগাচ্ছে সবাইকে
চার দফা বিলম্বে ফল প্রকাশের পর এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে নানা জটিলতায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীর নাম বিজ্ঞান শাখায়, ঢাকার কলেজে আবেদন করে নাম পাওয়া গেছে যশোরের কলেজে, এমন অনেক অভিযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রায় দিশেহারা অবস্থা। আর এ নিয়ে বিব্রত স্বাভাবিকভাবেই কলেজ কর্তৃপক্ষও।
urgentPhoto
এ সব সমস্যা নিয়ে আজ মঙ্গলবার দিনভর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে ভিড় করেছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানালেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, সব শিক্ষার্থীই কলেজে ভর্তি হতে পারবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভুল করলে এ দায়দায়িত্ব বোর্ড নিবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষা বোর্ডে হাজির হওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানালেন, গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ার পরও ভাগ্যে কলেজ জুটেনি। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এক শিক্ষার্থী এমন এক কলেজ পেয়েছেন যেখানে ওই বিভাগই নেই।
শিক্ষার্থীদের সাথে উদ্বিগ্ন তাদের অভিভাবকরাও। তাঁদের দাবি, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নতুন এই নীতি ধ্বংস করে দিতে পারে অনেক মেধাবীর স্বপ্নের ভবিষ্যৎ।
একজন অভিভাবক বললেন, ‘চেয়েছিলাম ব্যবসায় শিক্ষা। তালিকা আসার পর দেখি দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ।’
অন্য এক অভিভাবক বলেন, ‘ভুল আসায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বলল শিক্ষাবোর্ডে যেতে। শিক্ষাবোর্ড বলছে, কলেজ জানে।’
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রথম মেধা তালিকায় যাদের নাম আসেনি দ্বিতীয় মেধা তালিকায় তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। তা ছাড়া রিলিজ স্লিপের মাধ্যমেও শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। আর ভর্তির পর বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগও রাখা হয়েছে বোর্ড থেকে।
আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় মেধা তালিকার জন্য। যেসব শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়নি তাদের নির্বাচনের সম্ভাবনা অবশ্যই এসে যাবে। আমাদের আসন সংখ্যা প্রচুর আছে। যদি প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা এ দায়দায়িত্ব অবশ্যই নেব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষে।’
দেশের সব কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞান শাখার জন্য দুই হাজার ৯৮৭ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজার ৮৬০ টাকা র্নিধারণ করা হয়েছে।