শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতির নির্দেশ
১৪ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী ১৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন হতে দেশের সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর এ ঘোষণার একদিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা সাপেক্ষে আগামী ১৩ জুন থেকে এ বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে তা আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্লাস নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এ বছর শিখনফলের ভিত্তিতে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ছাড়া পরের বছরেও এই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ১৫০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ১৮৪ কর্মদিবসের ক্লাসের হিসাব করে নতুন এ পাঠ্যসূচি করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর প্রথমদিকে এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করানো হবে। প্রথম দিকে অন্যান্য শ্রেণীর ক্লাস করে সপ্তাহে একদিন। এরপর ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে পূর্ণাঙ্গভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।