ভুলি নাই ২১
হত্যার প্রতিবাদে প্রথম প্রকাশ্য সভা
এ ভূখণ্ডের মা, মাটি ও মুখের ভাষা ‘বাংলা’কে যখন খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে, তখনই এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তরুণ সম্প্রদায়। মিছিল, মিটিং, সেমিনার, জনমত তৈরিসহ নানাভাবে চলতে থাকে ভাষারক্ষার চেষ্টা। আর এসবকে থামাতেও বন্দুকের নল উঁচিয়ে রাখতে ভুল করেনি শাসকগোষ্ঠী। ফলশ্রুতিতে রাজপথ হলো রক্তাক্ত। খালি হলো সালাম, বরকত, রফিকের মায়ের বুক। ভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জন এ ভূখণ্ডের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। মিছিল, সভা, গায়েবানা জানাজায় মানুষ শয়ে শয়ে যোগ দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে থাকে। একুশে ফেব্রুয়ারি ’৫২-তে শহীদদের স্মরণে একটি গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিতির সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মাতো। ভাষার প্রতি টান থেকে মানুষ জানাজাকে বেছে নেয় প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে। জানাজা শেষে উপস্থিত জনতাকে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে সভাপতিত্ব করা যুবলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মহম্মদ এমাদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ ছাড়া অলি আহাদ সভা শুরুর দিকে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নূরুল আমীন সরকারের হত্যার জবাব আমরা দিব ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মারফত, মাতৃভাষা বাংলাকে পূর্ণ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য।
গ্রন্থনা : সেখ ফয়সাল আহমেদ