ইজতেমা থেকে ফিরছেন মুসল্লিরা, পরিবহণ সংকটে ভোগান্তি
তাবলিগ জামায়াতের ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরছেন মুসল্লিরা। ট্রেন, বাস ও অন্যান্য যানবাহনে ফিরে যাচ্ছেন তারা। যানবাহন সংকটে হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থল ত্যাগ করছেন।
মোনাজাত উপলক্ষে প্রধান কয়েকটি সড়ক বন্ধ থাকায় অন্যান্য সড়কগুলোতেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ইজতেমায় আগত মুসল্লিরাসহ সাধারণ মানুষ।
আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শেষ হয় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের কাকরাইলের শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের। আখেরি মোনাজাতের আগে সকালে ফজরের পরপর হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আবদুর রহমান।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে বয়ানের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামায়াতের প্রথম পর্বের এ ইজতেমা শুরু হয়। আজ রোববার সকাল থেকেই সমবেত মুসল্লিদের সঙ্গে মুনাজাতে অংশ নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে নিজেদের কৃত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও তাঁর নৈকট্য লাভের আশায় দলে দলে যোগ দেন মুসল্লিরা। বাসে, ট্রেনে ও অন্যান্য যানবাহনে করে যেতে দেখা যাচ্ছে মানুষদের। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, এবারে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ‘মোনাজাত স্পেশাল’ নামের বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করে।
এদিকে, ইজতেমার এ পর্বে শিল্পনগরী টঙ্গী ইতোমধ্যেই ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। মহান আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভের ব্যাকুলতায় দ্বীনের দাওয়াতে মেহনত করার জন্য ইসলামের মর্মবাণী সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দলে দলে ছুটে আসেন টঙ্গীর তুরাগ তীরে। ইজতেমায় মূল বয়ান উর্দুতে হলেও অংশ নেওয়া বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক, ভারতের মাওলানা ইবরাহিম দেওলা।
বয়ানে ওলামায়ে কেরাম বলেন, যারা দুনিয়াতে দ্বীনের ওপর চলবে, ঈমানকে সুন্দর ও মজবুত করবে, আমলকে সুন্দর করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তাদেরকে কামিয়াবি দান করবেন। ঈমান ও আমল ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হওয়া যাবে না। ঈমান আমলের পাশাপাশি নামাজকে সুন্দর করতে হবে। আল্লাহকে পেতে হলে নামাজ পড়তে হবে। জাহান্নাম থেকে বাঁচতে এবং জান্নাত লাভের মাধ্যম হলো নামাজ। আরও বলা হয়, পরকালে শান্তি পেতে চাইলে ভালো আমল করতে হবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মনোনিবেশ করে ঈমান, আখলাক ও দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ের বয়ান শোনেন। বয়ানে ওলামায়ে কেরাম বলেন, দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত।