নানা আয়োজনে পালিত মহাসপ্তমী
“অত্যাচারী অসুর শক্তি পরাভূত যে মহাশক্তির পদতলে সেই শারদীয়া মায়ের আবাহনী গান আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে”। আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) মহাসপ্তমী ফরিদপুরে পালিত হচ্ছে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে। মহাসপ্তমী সপরিবারের মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশের দিন৷ দেবীর নবপত্রিকাস্নান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিয়ে দিনের মুখ্য আচার শুরু হয়েছে৷ এতদিন পরে বাপের বাড়ি ফিরেছে মেয়ে৷ সুতরাং, শুচি শুদ্ধ না করে মেয়েকে কি ঘরে তোলা যায়৷ তা না হলে অমঙ্গল হবে যে৷ তাই ভোর হতেই শুরু হয় যায় নবপত্রিকা স্নান৷ একে একে হয়েছে মহাস্নান, অষ্ট কলস স্নান, আবাহন, চক্ষুদান, প্রাণ প্রতিষ্ঠা৷ তারপর পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ৷ ঢাকের আওয়াজ।
সে অনুযায়ী সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সপ্তমী পূজার রীতি মেনে নবপত্রিকা (কলাবউ) স্নানের পর শুরু হয়েছে দুর্গার আরাধনা৷ এরপর ঘট বসিয়ে সঙ্কল্প৷ ফলনের দেবী হিসেবে মহাসপ্তমীতে দুর্গাপূজা হয়। অন্যান্য আরও আটটি গাছের সঙ্গে বেল গাছের শাখা কেটে রাখা হয়। বলা হয়, ষষ্ঠীর রাতে এই বেল গাছের শাখাতেই দেবী নেমে এসেছিলেন ও সারা রাত বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এই নয়টি গাছের শাখাকে স্নান করিয়ে পূজার জায়গায় নিয়ে আসা হয় এবং এর পরেই মাটির প্রতিমায় হয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ফরিদপুর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চলছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা। পূজায় জেলার ৮৩৪টি মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত মণ্ডবগুলো।