শেয়ারবাজারে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
ফ্লোর প্রাইস (নিম্নসীমা) তুলে নেওয়ার পর প্রথম কর্মদিবস পতন হলেও দ্বিতীয় কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) ডিএসইতে সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। আগের কার্যদিবসের চেয়ে এদিন লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। তবে কমেছে বাজারে মূলধনের পরিমাণ।
ডিএসই ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেয়ার বিক্রির চাপে আজ লেনদেনের শুরুতেই সূচকের পতন হয়। শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮ পয়েন্ট পতন হয়। পরে সেই পতন বৃত্ত কমতে থাকে। প্রথম ছয় মিনিটে লেনদেনে পতন হয়েছিল ৩৭ পয়েন্ট। বেলা বাড়ার পর সেই পতন ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয়। প্রথম ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট বা বেলা ১২টা ১০মিনিট পর্যন্ত লেনদেনে সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। আর দিনশেষে ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট। এদিন লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় অনেকে এতোদিন শেয়ার বিক্রি করতে পারেনি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যা গতকাল রোববার থেকে কার্যকর হয়েছিল। ওইদিন অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির দিকে ঝুঁকে পড়েন। অনেকে লসে শেয়ার বিক্রি করেন। এতে ডিএসইতে বিক্রির চাপ অনেক বাড়ে। ফলে ওইদিন তিন শতাধিক কোম্পানির শেয়ার দর পতন ঘটে। সেই চিত্র আজ লেনদেনের শুরুতে ছিল। লেনদেন শুরুর ছয়-সাত মিনিট পর সেই অবস্থান ঘুরে দাঁড়ায়। এতে ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয় ডিএসই। আজ শেয়ার কেনার চাপও বেড়েছে। ফলে দুই শতাধিক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। লেনদেন ছাড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। যা গত ছয় মাস বা ১২৭ কর্মদিবসের মধ্যে সেরা লেনদেন। এসব বাজারের জন্য ইতিবাচক ম্যাসেজ বলে জানান তারা।
স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্র জানা যায়, সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অপরদিক এদিন পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৭৩ হাজার ২৭৯ কোটি ৭৫ টাকা। আগের কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৭৬ হাজার ৯১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার।
ডিএসইর সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৫৪ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ছয় দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮০ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১০ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৪৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিনে লেনদেন হওয়া ৩৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৭টির ও কমেছে ১৪৫টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৪০টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার ২১ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস রোববার লেনদেন হয়েছিল ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬৮ হাজার ২১৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস রোববার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৭২ হাজার ৭৯৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৯৩ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৩৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।