লেনদেন ডিএসইতে বাড়লেও সিএসইতে কমেছে
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। আগের কর্মদিবস থেকে এদিন লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। লেনদেন সাড়ে আটশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তবে বাজারে কমেছে মূলধন পরিমাণ। সূচক উত্থানের একই চিত্র ছিল অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। তবে লেনদেন ও মূলধন পরিমাণ কমেছে।
স্টক এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেয়ার ক্রয়ের চাপে ডিএসইতে লেনদেন শুরুতেই সূচক উত্থান হয়। লেনদেনে শুরু প্রথম ২৩ মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থান হয় ৩১ পয়েন্ট। ডিএসইএক্স সূচক বেড়ে অবস্থান করেছিল ছয় হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। পরে বাড়া কমার মধ্যে ছিল সূচক। লেনদেনের দুই ঘণ্টা ১০ মিনিটে ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট বাড়ে। সূচক দাঁড়ায় ছয় হাজার ২৯৭ পয়েন্টে। পরে সূচক কমতে থাকলে। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৮২ পয়েন্ট। লেনদেন ৮৬২ কোটি টাকা।
স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৬২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৭৬৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এদিন পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬২ হাজার ১৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস মঙ্গলবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৬২ হাজার ৬৭৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার। বৃহস্পতিবার সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৭৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস৩০ সূচক সাত দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৩৯ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৭টির ও কমেছে ১৩৯টি। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির।
আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেস্ট হোল্ডিংসের ২৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিক্সসের ২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ২০ কোটি ১৯ লাখ টাকা, জেমিনি সী ফুডের ১৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা, আইটিসির ১৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের ১৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং ইন্ট্রাকোর ১৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৫৫ হাজার ২১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫৪ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার পাঁচ দশমিক ২০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক তিন দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪৭ দশমিক ৭২ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৩১ দশমিক ৮০ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক এক দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ৯৬টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ৩৮টির।
আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেএমআই হাসপাতালের ৮৬ লাখ টাকা, নাভানা ফার্মার ৮৫ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডস্টিজের ৬৯ লাখ টাকা, উত্তরা ব্যাংকের ৬৮ লাখ টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৯ লাখ টাকা, বেক্সিমকোর ৩৬ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামেকর ২৯ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ২৭ লাখ টাকা এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্সের ২৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।