মুনাফার ৬৯ শতাংশ যাবে রিজার্ভে, বাকিটা শেয়ারহোল্ডারদের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির ডিবিএইচ ফাইন্যান্স বিদায়ী ২০২৩ সমাপ্ত বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৯৫ পয়সা। এর মধ্যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা পাবে এক টাকা ৫০ পয়সা বা ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ। বাকি তিন টাকা ৪৫ পয়সা বা ৬৯ দশমিক ৭০ শতাংশ চলে যাবে কোম্পানির রিজার্ভ বা রিটেইল প্রফিটে। আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গেল ২০২৩ সমাপ্ত বছরে আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গতকাল রোববার (১১ মার্চ) বিকেলে কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শেয়ার প্রতি এক টাকা ৫০ পয়সা বা ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলোচিত সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে চার টাকা ৯৫ পয়সা। আগের ২০২২ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল পাঁচ টাকা ১১ পয়সা। এসময়ের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি মুনাফা কমেছে ১৬ পয়সা বা তিন দশমিক ১৩ শতাংশ।
সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৩ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছরের এনওসিএফপিএস ছিল নেগেটিভ ১৯ টাকা ২৬ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে এনএভিপিএস ছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ মে, বেলা ১১টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ডিবিএইচ ফাইন্যান্স। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৯৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার ১৭১টি। রিজার্ভ রয়েছে ৫৯৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। আজ মঙ্গলবার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪৩ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বিদেশি ১২ দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।