অধিকাংশ লভ্যাংশ যাবে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের রিজার্ভে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির আইডিএলসি ফাইন্যান্স বিদায়ী ২০২৩ সমাপ্ত বছরে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৬৪ পয়সা। এর মধ্যে দুই টাকা ১৪ পয়সা বা ৫৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ চলে যাবে কোম্পানির রিজার্ভ বা রিটেইল প্রফিটে। বাকিটা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা পাবে। আজ বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গেল ২০২৩ সমাপ্ত বছরে আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শেয়ার প্রতি এক টাকা ৫০ পয়সা বা ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আলোচিত সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে তিন টাকা ৬৪ পয়সা। আগের ২০২২ বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল চার টাকা ৬১ পয়সা। এসময়ের ব্যবধানে শেয়ার প্রতি মুনাফা কমেছে ৯৭ পয়সা বা ২১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।
সমাপ্ত বছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে নেগেটিভ ২৩ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছরের সমন্বিত শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল নেগেটিভ ২১ টাকা ১০ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৭১ পয়সা। আগের অর্থবছরে সমন্বিত শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ এপ্রিল, বেলা ১১টায়। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৪ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৫টি। রিজার্ভ রয়েছে এক হাজার ২৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। আজ বুধবার লেনদেন শুরুতে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ১৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।