প্রতিবন্ধকতা থাকলে পুঁজিবাজারে কে আসতে চাইবে, প্রশ্ন শাকিল রিজভীর
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেছেন, পুঁজিবাজারে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা নগদ টাকা সংগ্রহের সুযোগ না থাকা। এই প্রতিবন্ধকতা থাকলে কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না, তা হয় না।
আজ শনিবার (২৯ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) ফল উৎসব অনুষ্ঠানে শাকিল রিজভী এ কথা বলেন।
রাজধানীর পল্টনের আল রাজি কমপ্লেক্সে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফের সভাপতি এসএম গোলাম সামদানী। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের আকার এখনও ছোট। আমরা মনেপ্রাণে চাই বাজার পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের মতো বড় হোক।
শাকিল আরও বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এর মধ্যে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা ক্যাশ টাকা সংগ্রহের সুযোগ না থাকা। এতো প্রতিবন্ধকতা থাকলে, কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না, তা হয় না।
ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের নানা অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করেছেন, করছেন। এর মাধ্যমে অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, তবে কমবে। তিনি বলেন, গত ১০ বছর আগে পুঁজিবাজারে এতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তখন প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো। এতো বছর পরও লেনদেন বাড়েনি, বরং সময়ের পরিক্রমায় লেনদেন প্রায় ৪০০ কোটিতে নেমেছে।
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, গত ১২ বছরে আমাদের অর্জন শূন্য বললেও ভুল হবে। আমরা আসলে ঋণাত্মক অবস্থায় আছি। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের ভূমিকা অস্বীকার করে কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব নয়।
ফল উৎসবে বক্তব্য দেন ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও, সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সিনিয়র সদস্য রাজু আহমেদ প্রমুখ।