এসকে ট্রিমসের উৎপাদন বন্ধ
দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যাংক হিসাব জব্দ রয়েছে। এতে কোম্পানিটির উৎপাদনের ব্যয়ের প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে। এর ফলে উৎপাদন কার্য সুষ্ঠভাবে চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এরই ধারায় কোম্পানিটর উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। যা গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। কোম্পানির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে উৎপাদন বন্ধ সংক্রান্ত এক চিঠি পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছেও পাঠিয়েছে একই চিঠি।
উৎপাদন বন্ধ প্রসঙ্গে আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) কোম্পানির সচিব রিয়াজ হায়দার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এসকে ট্রিমস ইন্ডাস্ট্রিজ শতভাগ রপ্তানি নির্ভর প্রতিষ্ঠান। আমাদের কোম্পানিটির সব ধরনের আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু গত ২৫ জুন থেকে কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাব জব্দ। এতে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে কোম্পানিটির উৎপাদন সুষ্ঠভাবে চালানো, এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ আপাতত এর উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
উৎপাদন শুরুর প্রসঙ্গে রিয়াজ হায়দার বলেন, ‘যেহেতু কোম্পানিটির সব আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হচ্ছে। তাই কোম্পানির ব্যাংক হিসাব চালু না হওয়া পর্ষন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। হিসাব চালুর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উৎপাদনও শুরু হবে বলে আশা করছি। উৎপাদন চালু হলে তখন সবাইকে বিষয়টি জানানো হবে।’
গত ২৫ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এসকে ট্রিমসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। পরে রপ্তানিমুখী, কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বলে অনুরোধ করলে ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক জব্দের আদেশ তুলে নেয়। কিন্তু ১১ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে মেট্রোপলিটন জজ আদালের নির্দেশে বিএফআইইউ কোম্পানির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।