বেক্সিমকোর অর্থদণ্ডে নেতিবাচক পুঁজিবাজার
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচক পতনে শেষ হয়েছে আজ বুধবারের (২ অক্টোবর) লেনদেন। কমেছে বাজারে মূলধনের পরিমাণ। ক্রেতা সংকটে পরে দরপতন প্রায় ৯০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারে।
বেক্সিমকোর শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রেকর্ড অর্থদণ্ড করেছে জানিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, এতে আজ লেনদেন শুরুতে বড় ধরনের ধস নামে ডিএসইতে। লেনদেন শুরুতে ক্রেতা সংকটে পড়ে ঢালাওভাবে পতন শুরু হয়। আজ দিনশেষে সেই পতন আরও বড় হয়। এদিন ৩৪৭ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়।
তারা বলেন, গতকাল মোট ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় ওইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। এমনিতেই বাজারে আস্থা ও তারল্য সংকট রয়েছে। তারপর হুট করে এতো বড় অঙ্কের অর্থদণ্ড বিষয়টি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ কারণে আজ লেনদেন শুরুতে ডিএসই মন্দা রুপে ফিরে। এদিন ডিএসইতে কমেছে ৮৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। যা আগের কর্মদিবস মঙ্গলবার এই মূলধন ছিল ছয় লাখ ৮০ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। সূচক ডিএসইএক্স ১৩২ দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৪৫৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ৩২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২১৯ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ৫১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮৮ দশমিক শূন্য এক পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির ও কমেছে ৩৪৭টির বা ৮৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ২২টির।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— মারজানা রহমানকে পাঁচ কোটি টাকা, ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে চার কোটি এক লাখ টাকা, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি টাকা, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি টাকা, জুপিটার বিজনেসকে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, এপোলে ট্রেডিংকে ১৫ কোটি এক লাখ টাকা, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি টাকা, আব্দুর রউফকে ৩১ কোটি টাকা এবং ক্রিসেন্টকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ৯ ইস্যুয়ার কোম্পানির আইপিও বা আরপিওর অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে পরিদর্শন করা হবে বলে জানায়। যেসব কোম্পানি পরিদর্শন করা হবে সেগুলো হলো— বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (আরপিও), বেস্ট হোল্ডিং, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, লুব-রেফ (বাংলাদেশ), নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং সাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।