বিএসইসির চেয়ারম্যান মাকসুদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকে অভিযোগ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দুর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধান করার দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে গিয়ে এবিষয়ে এক লিখিত অভিযোগ দেন সংগঠনটি সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন। লিখিত অভিযোগের পর সাংবাদিকদের সাথে এবিষয়ে কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
খন্দকার রাশেদ মাকসুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সংগঠনের নেতারা বলেন, গত সাত মাস ধরে খন্দকার রাসেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিনিয়োগকারীরা আন্দোলন করছেন। তাদের অভিযোগ রাশেদ মাকসুদ নামে দুদকে মামলা চলমান থাকার রয়েছে।
নেতারা বলেন, খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। এমডি থাকার অবস্থায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ আর্থিক দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে কিছুই করেননি তিনি। উল্টো সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে অন্যদেরসহ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ২৬৪ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মে তদন্ত শুরু করে। তার এই দুর্নীতি দ্রুত অনুসন্ধান করে তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি রাখেন।
দুদকে জমা দেওয়া ওই লিখিত অভিযোগে সংগঠনটি জানায়, দেশ, মানুষ ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে জুলাই স্প্রিট ও আমাদের নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টার দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের সাথে দুর্নীতিবাজ বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এই পথে থাকাটা অনৈতিক। তাই আমরা সব বিনিয়োগকারী এরকম একজন অর্থ আত্মসাৎকারী, ব্যাংক লোপাটকারি দুর্নীতিবাজ অভিসারের দুর্নীতি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক