ডিএসই : দুই খাতে লেনদেন ২৮ শতাংশ, শীর্ষে বস্ত্র
সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। পরের অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল। এই দুই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৫৭ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৪১১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে ২১টি খাতে রয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বস্ত্র ও প্রকৌশল—এই দুই খাতের ১০০টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৫৭৩ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার। বাকি ১৯ খাতের ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৪৮৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
শীর্ষ অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৯৯ কোটি সাত লাখ টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এই খাতের ৪২টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এই খাতের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২২৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। লেনদেনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এই খাতের ২১টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২১৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। লেনদেনে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি ও শক্তি খাত। এই খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। লেনদেনে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ১২৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ।
এছাড়া মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে বিবিধ খাতে, সাধারণ বিমা খাতে পাঁচ দশমিক ৪৬ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে চার দশমিক ৪৫ শতাংশ, আইটি খাতে তিন দশমিক ৯৭ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে তিন দশমিক ৬৩ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে দুই দশমিক ৪১ শতাংশ, নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে এক দশমিক ৬২ শতাংশ, সিরামিক খাতে এক দশমিক ৫৯ শতাংশ, টেলিকম খাতে এক দশমিক ২৬ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে এক দশমিক ১৪ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে এক দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, পাট খাতে এক দশমিক শূন্য এক শতাংশ, চামড়া খাতে শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে শূন্য দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক