ইউরোপ যাচ্ছে সাতক্ষীরার হিমসাগর
দেশের সীমানা পেরিয়ে এবার ইটালি যাচ্ছে সাতক্ষীরার সুস্বাদু জাতের আম ‘হিমসাগর’। আজ শুক্রবার পাঁচ টন হিমসাগর জাতের আম রপ্তানির উদ্দেশে ঢাকায় রওনা হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার বাগানে বাগানে আম পাড়ার মহোৎসব।
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, সাতক্ষীরার বাগানে বাগানে হিমসাগর আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে আজ। জ্যৈষ্ঠের প্রখর খরতাপে এই আম রং পরিবর্তনের পাশাপাশি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠেছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ায় আমের আকার কিছুটা হলেও ছোট হয়েছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল আম সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা আম উৎপাদনের অনুকূল জায়গা। এ জেলায় উৎপাদিত এই আমের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের বাজারেও। কয়েক বছর ধরে এ জেলা থেকে হিমসাগর ও আম্রপালি জাতের আম বিদেশে রপ্তানি হয়ে আসছে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশি জাতের সুমিষ্ট আম গোবিন্দভোগ।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এবারও বিপুল পরিমাণে আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের বাজারে যেতে শুরু করেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙা গ্রামের হাফিজউদ্দিন কারির বাগান থেকে ‘হিমসাগর’ আম পাড়া শুরু হয়েছে। এ সময় সেখানে কৃষি বিভাগের লোকজন ও রপ্তানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় পাঁচ হাজার বাগানে চাষ হয়েছে আম। বিষমুক্ত আম চাষে ৩৫০ জন চাষিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা পোকা দমনে কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ফেরোমেন পদ্ধতিতে পোকা ধ্বংস করেছেন। অপরদিকে গাছের গোড়ায় সেচ দিয়ে এবং মাটি তুলে বিষমুক্ত আম উৎপাদন করেছেন। এবারের আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, আম্রপালি, বোম্বাই ও স্থানীয় জাতের নানা ধরনের সুমিষ্ট, সুস্বাদু ও বাহারি আম। এবার ৫০ টন আম বিদেশের বাজারে পাঠানো হবে।