চাল-তেলে অস্বস্তি, স্বস্তি সবজিতে

রাজধানীতে চাল, ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে ছোলা বুটের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজসহ সবজির বাজার। তবে করোনাভাইরাসে সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণায় হাজারো মানুষ রাজধানী ছাড়ার পর বেচাকেনা কমে গেছে। অধিকাংশ দোকানি অলস সময় পার করছেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় চালের দাম বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ডাল, তেল ও চিনির দাম। প্রতি কেজি মোটা চাল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি বিভিন্ন চাল পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকায়। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। সয়াবিন তেল ব্র্যান্ডভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

তবে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ, রসুন ও ছোলার দাম। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকায়, আলু ২০, টমেটো ২০ থেকে ২৫, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ এবং লাউ ছোট-বড়ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়; ঢেঁড়শ ৩০ টাকায়, পটোল ৪০ টাকায়। এলাকাভেদে এসব পণ্য ৫ থেকে ১০ টাকা কম বা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজরের মিরাজ স্টোরের মালিক শফিউল আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মানুষ ঢাকা ছাড়ায় ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় ব্যবসা অচল হয়ে পড়েছে। গত ২৫ মার্চ ডিম বিক্রি করেছি ১১০ থেকে ১২০ টাকা টাকা ধরে। এখন দাম কিছুটা কমের পথে। এখন ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা ইমরান হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কয়েক দিনে বিক্রি অনেক কমে গেছে। সাধারণ ছুটির ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এখন সবজির ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। সরবরাহ নিয়ে কোনো সমস্য নেই, মূল সমস্যা ক্রেতার অভাব।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে অনেক পাইকার দোকান খুলছেন না বলেও জানান ইমরান। তিনি আরো বলেন, ‘লোকসানের কারণে অনেকে জেলার পাইকারদের কাছ থেকে একবারে বেশি সবজি কিনছেন না।’
কারওয়ান বাজারে পণ্য কিনতে আসা রবিউল নামের এক ক্রেতা এনটিভি অনলাইনকে জানান, চাল, তেল, ডালের দাম কমছে না। সরকার চাল, তেলের দাম কমালে ভালো হতো।