সবজির দাম সামান্য কমেছে
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মিরপুর, যাত্রবাড়ী, শনির আখড়াসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ তালিকায় রয়েছে পটল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পেঁপে, ঝিঙে, চিচিঙ্গা। তবে করলা, বরবটি, কচুর লতি ও টমেটো এখনও ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। সজনে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।
অপরদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেল, চিনি, আটা-ময়দার দামও একই জায়গায় রয়েছে। তবে, সম্প্রতি এগুলো বেড়ে এখন স্থিতিশীলতায় রয়েছে।
মুরগি ও ডিমের বাজারে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ থেকে দাম বাড়ছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারে ৫০ টাকা হালিতে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির মাংস ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।
বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯৫০ টাকা ও নদীর চিংড়ি এক হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি, ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। মাঝারি রকমের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা। আর দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এছাড়া রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, কাতল মাছে ৩০০ টাকা, দেশি পুঁটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি এবং বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।
গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি।