নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন কমছেই না, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
রাজধানীর বাজারে হুহু করে বাড়ছে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে অস্থিরতা যেন কমছেই না। নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষরা বাজারে গিয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া।
আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর, হাতিরপুল, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মুগদা, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে মাছ-মুরগি সবজিসহ সব পণ্যের দাম বাড়তি। কাঁচা মরিচ, আদা ও টমেটোর দাম আবারও বেড়েছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া, আদার কেজি ২৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, গোল বেগুনের কেজি ১২০ টাকা, রসুন ১৩০ টাকা কেজি।
কাচাঁবাজারে দেখা গেছে, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় ও টমেটোর কেজি ২৬০ টাকা।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ ৩৩০-৩৬০ টাকা, পাঙাশ-তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা-গুলশা-ট্যাংরা জাতীয় মাছ ৫৫০-৮০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, এক কেজি বা ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-২০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, খাসির মাংস ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে ডিমের। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসি ১২০০ টাকা, ব্রয়লার ২০০-২২৫ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালি দরে। এক ডজন নিলে রাখা হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা।
অপরদিকে, মুদি বাজারে তেল-চিনি, আটা-ময়দা বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার। খোলা চিনির কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। প্যাকেটজাত আটা ৬৮ টাকা এবং ময়দা ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।