২৪ ক্যাটাগরিতে সপ্তম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান

বছরের শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনগুলোকে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো সপ্তম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড। ১৩৯টি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনকে ২৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকা হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজন করে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের সপ্তম সংস্করণ।
আয়োজনটির পরিবেশনায় ছিল মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। সহযোগিতায় দ্য ডেইলি স্টার। প্রায় ৬০০ জন ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের উপস্থিতিতে একটি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ী ক্যাম্পেইন বা প্রচারণাগুলোকে পুরষ্কৃত করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রচারণা নিয়ে প্রচলিত একমাত্র সম্মাননা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড। এবারের সংস্করণে পুরস্কারের জন্য ১ হাজার ৩৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে। মনোনয়নগুলোকে-শর্টলিস্টিং এবং গ্র্যান্ড জুরি- এই দুটি পর্যায়ে বাছাই করেন দেশের শীর্ষ ক্যাটাগরি বিশেষজ্ঞদের একাধিক দল। প্রাথমিক শর্টলিস্টিং পর্যায়ে ১০টি জুরি সেশনে ১৩৬ জন বিশেষজ্ঞ ৪৫৩টি মনোনয়নকে বাছাই করেন। পরবর্তীতে আরও ১০টি গ্র্যান্ড জুরি সেশনে ১১৫ জন জুরি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ীদের বাছাই করেন। ২৪টি পৃথক ক্যাটাগরিতে চারটি র্যাংকে চূড়ান্ত বিজয়ীরা পুরস্কৃত হন। এ বছর ৭১টি ব্রোঞ্জ, ৪৯টি সিলভার, ১৯টি গোল্ড পদক প্রদান করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের এই বছরের আসরে কোনো গ্র্যাঁ পি বিজেতা ছিল না। আয়োজনটির স্বাগত বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পরিচালক ও ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, “ডিজিটাল কমিউনিকেশন ও মার্কেটিংয়ের সাথে আনুষঙ্গিকভাবেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, উদ্ভাবনী দক্ষতা এবং যথার্থ ডাটার ব্যবহার জড়িত। আজকের এই সম্মাননাটি তাই শুধু আমাদের সেরা কাজগুলোকে স্বীকৃতি প্রদানের একটি মঞ্চ নয় বরং একইসাথে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আরো সম্ভাবনাময় পর্যায়ে এগিয়ে যাওয়ার একটি অনুপ্রেরণাও।”
সপ্তম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের আগে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে ‘ইনোভেশন এন্ড ডিসরাপশন : গাইডিং থ্রু দ্য ডিজিটাল ট্যারেন’ প্রতিপাদ্যকে মুখ্য করে ১০ম ডিজিটাল সামিট অনুষ্ঠিত হয়। চারটি কিনোট সেশন, তিনটি প্যানেল ডিসকাশন এবং দুটি ইনসাইট সেশনের সমন্বয়ে সাজানো এই বছরের সামিটে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা এবং আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা।
আয়োজনটির স্বাগত বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে কর্মরত এবং অবদান রাখা আমাদের সকলের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে উদ্ভাবনী সমাধানের সাথে আমাদের কাজকে সম্পৃক্ত করা। একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালি রূপান্তরিত যাত্রার জন্য এখানে উপস্থিত সকলের স্ব স্ব অবস্থান থেকেই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা আশাবাদী আসন্ন বছর গুলোকে আমরা বর্তমানের সকল চ্যালেঞ্জ ও সুযোগকে যথাযথভাবে ব্যবহার করে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করতে সক্ষম হবো।”
দশম ডিজিটাল সামিটের প্রথম কিনোট সেশনে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ ডিজিটাল ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এনালিটিকস নিয়ে আলোচনা করেন। ইন্টেলিফাইল লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রসূন বসু আলোচনা করেন ডাটার গুরুত্ব নিয়ে। তৃতীয় কিনোট সেশনের আলোচক গুগল এপেকের চ্যানেল সেলস বিভাগের হেড অব পার্টনার পারফরম্যান্স তারা ইয়ুন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। চতুর্থ সেশনের আলোচক ছিলেন মালয়েশিয়ার কানেক্টিং দ্য ডটসের প্রতিষ্ঠাতা ভারত আভালানি।
দিনব্যাপী ডিজিটাল সামিটের প্যানেল ও ইনসাইট সেশনের আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে এসেছে মিডিয়া এবং মার্কেটিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্রিয়েটিভিটির ভূমিকাসহ একটি ডিজিটাল রোডম্যাপ তৈরির জন্য অপরিহার্য পলিসির আলোচনা। ডিজিটাল সামিট ও ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ। আয়োজনটি সম্পন্ন হয়েছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিবেশনায় এবং দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায়।
এছাড়া, আয়োজনটির স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার- বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম (বিসিএফ); ইন্টেলিফাইল, নলেজ পার্টনার – মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ, টেকনোলজি পার্টনার- আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড, পিআর পার্টনার- ব্যাকপেজ পিআর।