সুযোগের অপেক্ষায় প্লাস্টিক!
ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশনের (বিএসআই) সার্কুলার ইকোনমি এক্সপার্ট ড. জেন গিলবার্ট বলেছেন, প্লাস্টিক শিল্প অভ্যন্তরীণ বাজারে একটি বিশাল বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি অংশ দখল করার সুযোগের অপেক্ষায়।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পল্টনে বিপিজিএমইএ কনফারেন্স রুমে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং বিএসআইয়ের যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারটির উদ্দেশ হলো—যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এবং কৌশলগুলো সমাধান করা। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ।
সমাপনী বক্তব্যে দেন বিপিজিএমইএ সিনিয়র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন। সেমিনারটি পরিচালনা করেন বিপিজিএমইএ মহাসচিব নারায়ন চন্দ্র দে।
ড. জেন গিলবার্ট বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি এখন মাত্র সাত দশমিক দুই শতাংশ সার্কুলার এবং এটি ক্রমবর্ধমান উপাদান নিষ্কাশন এবং ব্যবহার দ্বারা চালিত বছরের পর বছর খারাপ হচ্ছে। প্লাস্টিক শিল্প অভ্যন্তরীণ বাজারে একটি বিশাল বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ব বাজারেও একটি অংশ দখল করার সুযোগের অপেক্ষায়। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর রপ্তানি বাড়াতে পণ্য ও সেবার জন্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মান গ্রহণ করতে হবে।
বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, দেশের যত উন্নয়ন হবে, প্লাস্টিকের ব্যবহার তত বাড়বে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হলে আমাদের উদ্ভাবন করতে হবে এবং অন্যদিকে প্লাস্টিককে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিনিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন।
আলোচনায় অংশ নেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি মো. সলিম উল্লাহ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুর রহমান, বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের আনোয়ার হোসেন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের সালাহউদ্দিন শিকদার, বিপিজিএমইএ পরিচালক ও বিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদেম মাহমুদ ইউসুফ, বিএসটিআই পরিচালক জোহরা শিকদার প্রমুখ।