বাজেট উচ্চাভিলাষী হলেও কার্যকর পরিকল্পনায় অর্জন সম্ভব : ফিকি সভাপতি
সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার আকার এবারের প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছর বাজেটের। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৪ দশমিক দুই শতাংশ, জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ছয় দশমিক ৫০ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি অর্জন করা সম্ভব বলে জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। আজ সোমবার (১০ জুন) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার এসব কথা বলেন।
টেলিকম, কার্বনেটেড বেভারেজ, ওয়াটার পিউরিফায়ারের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক এবং কর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাভেদ আখতার বলেন, এতে প্রস্তুতকারকদের জন্য বর্ধিত কর এই ব্যবসার মুনাফা এবং কার্যকারিতার ক্ষেত্রে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। পাশাপাশি সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে। সরকারকে আর্থিক খাতের সংস্কারে নজর দিতে বলে তিনি বলেন, গৃহস্থালী আয় সমীক্ষা অনুসারে, জনসংখ্যার ১০ শতাংশ জাতীয় আয়ের ৪০ শতাংশ অবদান রাখে। কিন্তু, এনবিআরের তথ্য অনুসারে, দেশের মাত্র ১০ মিলিয়ন নিবন্ধিত করদাতা রয়েছে। তাই জনগণকে কর নেটের আওতায় আনতে আরও অনেকদূর যেতে হবে। যেহেতু সরকার এই ব্যাপারে কাজ করছে, তাই সামনে ফলাফল পাওয়া যাবে।
উচ্চ কার্যকরী করের হার (ইটিআর) শিল্পের জন্য একটি মূল উদ্বেগের বিষয় জানিয়ে ফিকি সভাপতি বলেন, যদিও তারা ব্যক্তিগত তহবিলের জন্য ১৫ শতংশ আয়কর হারের প্রশংসা করেছে, কিন্তু সরকারী তহবিলকে কর থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়টি সরকারী এবং বেসরকারী খাতের কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত আয়কর হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। এই ব্যবস্থা নিয়মিত করদাতাদের কাছে অন্যায় মনে হতে পারে। অসাবধানতাবশত কর ফাঁকি দিতে উৎসাহিত করতে পারে। কর স্ল্যাবে এই ধরনের পরিবর্তনগুলো অনুগত করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে। কারণ, তাদের কঠোর উপার্জনের জন্য জরিমানা করা হচ্ছে, এছাড়া এটিকে পূর্ববর্তী করে তোলে এনবিআরের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক কর সংস্কৃতির বর্তমান নীতির বিরুদ্ধে তাই ২০২৪- ২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রযোজ্য গত বছরের হার পুনরুদ্ধার করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই নীতির ফলে আরো সঠিক এবং দক্ষ কর ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্যে কর নেট প্রশস্ত করার সাথে করের হার হ্রাস করবে। এটি কমপ্লায়েন্সকে উৎসাহিত করে, করদাতা বাড়ায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ায়, সুষ্ঠু কর বণ্টন নিশ্চিত করে। কর প্রশাসনকে সরল করে, যা আরো স্থিতিশীল এবং অনুমানযোগ্য কর রাজস্বের দিকে নিয়ে যায়।