বিক্ষোভে এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ শাস্তির দাবি
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের পদত্যাগসহ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকালের মতো আজ বৃহস্পতিবারও (৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের ভবনে সামনে বিক্ষোভ করছেন তারা।
বিক্ষোভে চেয়ারম্যানকে পদত্যাগের পর আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি এনবিআর চেয়ারম্যান এতদিন কর্মচারীদের ওপরে জুলুম ও অবিচার করেছেন। নিজের ইচ্ছেমতো পদোন্নতি ও নিয়োগ দিয়েছেন। যোগ্যতা থাকার পরও অনেক কর্মচারী পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ ও বিচার দাবি করছি। এসময় তারা স্লোগান দেন, পালাইছেরে পালাইছে এনবিআর চেয়ারম্যান পালাইছে। তাদের লেখা একটি পোস্টারে দেখা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানকারী স্বৈরাচার আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এজন্য বিক্ষোভে চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছেন তারা। তাদের দাবি, এনবিআর চেয়ারম্যান এতদিন কর্মচারীদের ওপরে জুলুম ও অবিচার করেছেন। নিজের ইচ্ছেমতো পদোন্নতি ও নিয়োগ দিয়েছেন। যোগ্যতা থাকার পরও অনেক কর্মচারী পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন।
বিক্ষাভে তারা বেশকিছু দাবি তুলে ধরেছেন- প্রশাসন ক্যাডার থেকে কোনো কর্মকর্তাকে প্রেষণে এনবিআর পদায়ন করা যাবে না। স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর এনবিআর বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে অবিলম্বে পদ থেকে বরখাস্ত করে আয়কর/কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হবে। অবিলম্বে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানের দোসর ও প্রিয়পাত্র প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে। দুই বছর পর পর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করে আয়কর আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আয়কর আদায়ের স্বার্থে অতীতের মতো রাজস্ববান্ধব ও প্রযোজ্যতা সাপেক্ষে বদলি করতে হবে। অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। সব কর্মচারীদের পদায়ন কর্মচারীদের জন্য প্রণীত জ্যেষ্ঠতা বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী করতে হবে। আয়কর অনুবিভাগের ১০তম-২০তম গ্রেডের সব শূন্য পদে পদোন্নতি দিতে হবে এবং সব পদ পদোন্নতিযোগ্য হতে হবে। কোনো পদ ব্লক রাখা যাবে না। কর্মচারীদের নিজ নিজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে পরামর্শ করে কর্মচারীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে; অন্যথায় কোনো সিদ্ধান্ত মানা হবে না। সর্বশেষে আয়কর অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের সিদ্ধান্ত শুধু আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা নেবে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার এনবিআর চেয়ারম্যান অফিস করেছেন। তবে গতকাল ও আজ তিনি অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন।