পলক ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। তবে, দেশত্যাগের উদ্দেশে ৬ অগাস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে সেখানে তাকে আটকে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এরপর আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পলক ও তার স্ত্রী কনিকার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।
ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা দিয়ে বিএফআইইউ বলেছে, একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও অবরুদ্ধের তালিকায় থাকবে। ২০১২ সালের অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউ বলেছে, কোনো হিসাব স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়ার পর হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
লেনদেন অবরুদ্ধে করার এই নির্দেশের ক্ষেত্রে অর্থপাচার প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯-এর ২৬(২) ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ। একই দিন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্ত্রী ইউসিবির চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানের ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়। তার আগে গত রোববার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।