এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের পদত্যাগ
পদত্যাগ করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। ইমেইলের মাধ্যমে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের ডিটিও বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে এফবিবিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মাহবুবুল আলম সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। গত ২০২৩ সালের ২ আগস্ট এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের ২০২৩-২৫ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়, স্বাস্থ্যগত কারণে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
আদেশে বলা হয়, সভাপতি মাহবুবুল আলমের পদত্যাগের পর মো. আমিন হেলালী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করার পেছনে বোর্ড পুনর্গঠন সংক্রান্ত কোন তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। পাশাপাশি তাঁর পাঠানো পত্রটি তারিখের দিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ। সেহেতু নির্বাচিত পরিচালকদের সাথে এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পর্ষদের সমন্বয়হীনতার কারণে সংগঠনটি সার্বিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। তাই বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমানকে বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। যাতে তিনি ১২০ দিনের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবে। নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে এ মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
গতবছরের ১৪ আগস্ট ২০২৩-২৫ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন মাহবুবুল আলম। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা মাহবুবুল আলম ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হন ১৯৮৩ সালে। গত প্রায় চার দশকে কমোডিটি ট্রেডিং থেকে শুরু করে ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন তিনি। বর্তমানে নয়টি খাতে ১৭টি ব্যবসা উদ্যোগ রয়েছে মাহবুবুল আলমের।