দেশের জ্বালানিতে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধানে চীনের এক উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষতে (বেজা) সফর করেছেন।
গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিডার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। বৈঠকে চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্য হলেন- লংগি গ্রীন এনার্জি টেকনোলজি কো. লিমিটেড, টংওয়েই কো. এবং ইউনান শোর মতো শীর্ষস্থানীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা তাদের উন্নত প্রযুক্তি ও সফল আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করেন। তারা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষত সৌরশক্তি খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের বিশাল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও কর অবকাশ, শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি এবং দক্ষ শ্রমশক্তি প্রদানের মতো বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। বিডা ও বেজা দেশি -বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পূর্ণ সহায়তা প্রদান করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকে, যার ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে আদর্শ বিনিয়োগের নিরাপদ গন্তব্য।
বৈঠকে বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের অনন্য সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, উৎপাদনের সুবিধা ও বিনিয়োগের উচ্চ মুনাফার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। দেশের শিল্প কারখানাগুলোতে সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছাদ সৌরশক্তি ব্যবস্থা অন্যতম।
বৈঠকে চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্য ওয়াং ফেং বলেন, আমরা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের বাজার চাহিদা, বিনিয়োগ নীতি এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে গভীরভাবে জানতে আগ্রহী। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সম্ভাবনা এবং ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত।
বৈঠক শেষে আয়োজিত নেটওয়ার্কিং সেশনে স্থানীয় সৌরশক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ব্যাংক, আইন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এই সেশনে অংশগ্রহণকারীরা সম্ভাব্য সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন। এই সফর বাংলাদেশের বৈশ্বিক বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে ক্রমবর্ধমান আকর্ষণীয় অবস্থানকে তুলে ধরে। পাশাপাশি এটি সরকারের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গঠনে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অগ্রগতি সাধনে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।