প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ

চলতি বছরের মার্চের প্রথম ৮ দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১০ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে তুলনায় চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ। আজ সোমবার (১০ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চের প্রথম ৮ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৮১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ হাজার ৮৮৮ কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৪৪ পয়সা হিসেবে)। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ১০ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৫০ ডলার। আগের বছরের (২০২৪ সাল) মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ছয় কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬১০ ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে তিন কোটি ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪০ ডলার বা ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ৯ কোটি দুই লাখ ৭২ হাজার ৮৫০ ডলার। গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় চলতি মার্চে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ ডলার।
চলতি মার্চের প্রথম ৮ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ছয় হাজার ২২৯ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৩ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ছয় কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে মার্চের প্রথম ৮ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ১৬ কোটি এক লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় এক হাজার ৯৪৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৭২ হাজার টাকা। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে সাত কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। এরপর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে চার কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে চার কোটি ৭৮ হাজার ৭০ হাজার ডলার এসেছে।