এপ্রিলে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়

বিদায়ী এপ্রিলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। যদিও গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ—এই তিন মাসে প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। এপ্রিলে সৌদি আরবের পরে দ্বিতীয় স্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পবিত্র রমজানে প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লাগে। মার্চে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল মার্চে। ঈদের পর এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো গেল মাসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে—সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য (ইউকে), মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কাতার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলে সৌদি আরবের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ কোটি সাত লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ ছাড়া আলোচিত সময়ে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার, ২১ কোটি ৯ লাখ ডলার, ১৬ কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার, ১৫ কোটি পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ডলার, ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এ ছাড়া বাহরাইন থেকে এসেছে ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, ফ্রান্স থেকে তিন কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার, সাউথ আফ্রিকা থেকে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, সাউথ কোরিয়া থেকে দুই কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার, কানাডা থেকে দুই কোটি ৩৭ লাখ ডলার, জার্মানি থেকে এক কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে এক কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার, গ্রিস থেকে এক কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার, জর্ডান থেকে এক কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, মালদ্বীপ থেকে এক কোটি ২৫ লাখ ১০ হাজার ডলার।
স্পেন থেকে এক কোটি ২৫ লাখ ডলার, মরিশাস থেকে এক কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ব্রুনাই দারুসসালাম থেকে ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার, জাপান থেকে ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, পর্তুগাল থেকে ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ইরাক থেকে ৭৩ লাখ ডলার, লেবানন ৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পোল্যান্ড ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার, সুইডেন থেকে ৫৫ লাখ ডলার এবং ফিনল্যান্ড থেকে ৩৮ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। অন্যান্য দেশ মিলে প্রবাসী আয় এসেছে চার কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।