অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রশিক্ষণে লেকট্রার সঙ্গে বিজিএমইএর স্বাক্ষর
পোশাক এবং টেক্সটাইল শিল্পের জন্য সিএডি/সিএএম ও ডিজিটাল সমাধানে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি সংস্থা, লেকট্রা সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এই অংশীদারিত্বটি লেকট্রার উন্নত নকশা (ডিজাইন) এবং পণ্য-উন্নয়ন প্রযুক্তিকে বিজিএমইএর শিক্ষার্থীদের এবং শিল্প পেশাদারদের জন্য পরিচালিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলোতে একীভূত করার মাধ্যমে শিক্ষা, গবেষণা এবং দক্ষতা উন্নয়নকে শক্তিশালী করবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান এবং লেকট্রার পক্ষ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাস্কাল পিয়েরা স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় লেকট্রা তাদের বিশ্বমানের সিএডি/সিএএম সফটওয়্যার— ক্যালেডো স্টাইল, মোদারিস থ্রিডি এবং ডায়ামিনোফ্যাশন ইন্টারেক্টিভের মতো সমাধানগুলোর ১৫টি সিটের জন্য বিজিএমইএকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লাইসেন্স দেবে। এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে বিজিএমইএর শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকরা সর্বাধুনিক ডিজাইন, প্যাটার্ন তৈরি এবং মার্কার-মেকিং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুতি এবং বাজারে তাদের চাহিদা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। বিজিএমইএ তার শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকদের জন্য লেকট্রা থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে শিল্পের সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা নিশ্চিত করবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর পরিচালক নাফিস- উদ- দৌলা, বিজিএমইএ এসডিপি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন ভূঁইয়া এবং লেকট্রার স্থানীয় এজেন্ট আমরা রিসোর্স টিমের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, পোশাক শিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা অত্যাবশ্যক। লেকট্রার সাথে এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক মানের প্রশিক্ষণ দিতে এবং বাংলাদেশের পোশাক খাতকে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রাখতে সহায়ক হবে।
লেকট্রা সিঙ্গাপুরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পিয়েরা প্যাস্কাল তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বিজিএমইএকে আমাদের শিক্ষা অংশীদার প্রোগ্রামে স্বাগত জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ফ্যাশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করতে চাই। এই সহযোগিতা প্রশিক্ষণের মান উন্নত করবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশের পোশাক খাতকে বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত মানদণ্ডের সঙ্গে একীভূত হতে সাহায্য করবে, যা উদ্ভাবন ও ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক