চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রী হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ‘ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্ত্রাস, চাদাবাজি ও ধর্ষণের আখড়া বানিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে পাঁচ জন মিলে তাঁর ভিডিও ধারণ করেছে। চবি শাখা ছাত্রলীগের নেতারা সে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল দেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এ নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কালপ্রিটদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা না হলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠবে।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জানাই। ছাত্রলীগের দোষী শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র অধিকার পরিষদ সব ক্যাম্পাস ও জেলায় আন্দোলনের ঘোষণা করবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এখানে ছাত্র-ছাত্রী কেউ নিরাপদে থাকতে পারেন না, ছাত্রীরা যৌন হেনস্তার স্বীকার হন, বিরোধীরা ছাত্রলীগের অস্ত্রের কারণে মানবাধিকার হারিয়ে ফেলে, শিক্ষকেরা ক্লাসে ছাত্রলীগের ভয়ে ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। ছাত্রলীগের অস্ত্রের রাজনীতির অবসান করতে হবে। চাকসু নির্বাচন না থাকার কারণে সে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’