শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমের বত্রিশ বছর পূর্ণ করে তেত্রিশ বছরে পদার্পণ করল।
উৎসবমুখর পরিবেশে সকালে এ উপলক্ষে প্রথমে কালজয়ী মুজিব ও শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর হাদী চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার সূচনা করেন।
শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার সময় এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশে নানাভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উপাচার্য আরও বলেন, ‘খুলনার রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিসহ সকল মহলের শুভেচ্ছা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ-বিদেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সুনাম ও ভাবমূর্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৯১ সালে শিক্ষাকার্যক্রমের শুরুতে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই ক্যাম্পাসকে ছাত্র রাজনীতি মুক্ত রাখার যে অঙ্গীকার করেছিল তা গত ৩২ বছর ধরে পালিত হচ্ছে। এটা অনন্য নজির।’
শোভাযাত্রাটি হাদী চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট হয়ে খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট দিয়ে পুনরায় হাদী চত্বর হয়ে কটকা স্মৃতি স্তম্ভ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে দিয়ে অদম্য বাংলা হয়ে হাদী চত্বরে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে গ্রিন ক্যাম্পাসে রূপান্তরে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়া দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে আছে বিগত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ক্যাম্পাসের প্রধান গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা।
উল্লেখ্য ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেগম খালেদা জিয়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন । সেই থেকে ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।