মস্তিষ্কের চেয়ে হৃদয়ের গুরুত্ব বেশি : ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আধুনিক যুগে মস্তিষ্কের চেয়ে হৃদয়ের গুরুত্ব বেশি।
আজ শনিবার সকালে ‘নিউরোসায়েন্স রিসার্চ ইন বাংলাদেশ’-এর জাতীয় সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন উপাচার্য।
ঢাবির নিউরোসায়েন্স রিসার্চ সেন্টার এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকদের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে দেওয়া বক্তব্যে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মস্তিষ্কের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু তার চেয়ে হৃদয়ের গুরুত্ব আরো বেশি। কেন না পৃথিবীতে অনেক মেধাবী মস্তিষ্কের মানুষ আছে, কিন্তু হৃদয়বান মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে বিচ্ছিন্নভাবে গবেষণা না করার আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘সমস্ত বিশ্বে এখন নিউরোসায়েন্স অনেক দূর এগিয়েছে। বাংলাদেশও এ থেকে পিছিয়ে নেই। গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তাই বিজ্ঞানের যুগে বিচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করলে হবে না, সবাইকে একসঙ্গে গবেষণা করতে হবে।’
উপাচার্য আরো বলেন, ‘বিজ্ঞান এখন অনেক কিছু তৈরি করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। কিন্তু এসব প্রযুক্তি এখন রোগে পরিণত হয়েছে। আমরা যখন ঘুমাই, তখন আমেরিকা কাজ করে। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থাও করে। অর্থাৎ প্রযুক্তির যুগে মানুষ ঘুমের মধ্যেও কাজ করতে পারে।’
নিউরোসায়েন্স রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইসমাইল খান, ঢাবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সায়েদুল ইসলাম প্রমুখ।