গণিত অলিম্পিয়াড বিজয়ীদের বিশেষ সুবিধার কথা ভাবছে জাবি
প্রতিবছর জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে যাঁরা ভালো করেন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সুবিধা দেওয়া যায় কি না, তা ভেবে দেখছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, পদার্থবিদ্যা কিংবা গণিতের নানা জটিল বিষয়ে যাঁদের আগ্রহ বেশি, বিভিন্ন কারণে তাঁদের অনেকেই ক্লাসের পড়ালেখায় ভালো করতে পারেন না। এসব কঠিন কঠিন বিষয়ে বিশেষ দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জ্ঞান কিংবা বাংলা-ইংরেজির বিষয়ে তাঁদের দক্ষতা কম থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হন অনেকে। এ কারণেই জাবি শিক্ষকদের এমন আবেদন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাবি উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে বিশেষ সুবিধার প্রস্তাব করেন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার।
ডিন বলেন, ‘এটা তো বেশি হবে না, প্রতিবছর হয়তো দু-একজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে। এমআইটির মতো প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামিংয়ে ভালো করাদের কোনো ধরনের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া নানা ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে ভর্তি করছে। আমরাও এটা করতে পারি।’
পরে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অলিম্পিয়াডে ভালো করাদের মধ্যে যারা ওয়েটিংয়ে থাকে, তাদের ভর্তিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায় কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে। প্রোগ্রামিংয়ে যারা ভালো করছে, তারা জাতির সম্পদ। আগামী দিনে তারাই জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে অজিত কুমার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যারা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ভালো করেছে, আমরা দেখেছি ডিপার্টমেন্টে তাদের রেজাল্ট খারাপ। কিন্তু তারা তো এসব বিষয়ে এক্সট্রা অর্ডিনারি। জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে যারা ভালো করে, তারা ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান কিংবা বাংলা-ইংরেজির কয়েকটা প্রশ্ন না পারার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। ওরা হচ্ছে জাতির সম্ভাবনা। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো দরকার।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে কম্পিউটার সায়েন্স (সিএসি) কিংবা ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (আইটি) বিভাগ এ ব্যাপারে প্রস্তাব করলে সে প্রস্তাবের পক্ষে জোর সমর্থন জানাবেন বলেও জানান এ অধ্যাপক।
এ ব্যাপারে ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (আইটি) বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক কে এম আক্কাছ আলীর কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন।

জাবি সংবাদদাতা