এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত সাড়ে পাঁচ হাজার
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট)। প্রথম দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনের পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে একজন, বরিশাল বোর্ডে একজন ও দিনাজপুর বোর্ডে দুজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান।
বাংলা প্রথমপত্রে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এক হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বোর্ডে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৩১ জন। এছাড়া দিনাজপুর বোর্ডে ৭৩৩ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৬৫৫ জন, যশোরে ৬২৪ জন, সিলেটে ৪০৭ জন, বরিশালে ৩৮০ জন, ময়মনসিংহে ৩৫৬ জন প্রথম দিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল।
এদিকে, আট বোর্ডের অধীনে এক হাজার ৪১৩টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল নয় লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৪ জন পরীক্ষার্থীর। এরমধ্যে অংশ নিয়েছে নয় লাখ ৪১ হাজার ৩২২ জন। আর অনুপস্থিত ছিল পাঁচ হাজার ৫২২ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। অনুপস্থিতির এ হারের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে সন্তোষকজনক বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন। এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী।
এদিকে, বন্যার কারণে চট্টগ্রাম, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিন বোর্ডের প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ আগামী ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে।
এবার ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবমুক্ত ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সব পরীক্ষার্থী (নিয়মিত, অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ২০২৩ সালের সংশোধিত পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি ও সিলেবাস অনুযায়ী পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে অংশগ্রহণ করছে। পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।