কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দাবি, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী ও অধীন কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে এবং এর ব্যতয় ঘটলে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আজীবন বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অধ্যাদেশে উল্লেখ করতে হবে।
২. মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং তাঁদের প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হত্যাচেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং জড়িত সবাইকে বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। জড়িতদের তালিকা শিক্ষার্থীরাই প্রদান করবে।
৩. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যের সহায়তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. হামলার ঘটনায় আহত সবার চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসন থেকে বহন করতে হবে। আহত ব্যক্তিদের তালিকা শিক্ষার্থীদের থেকে প্রদান করতে হবে।
৫. এসব দাবি পূরণ করে ঘটনার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া কুয়েটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।’