‘ভোটাররাই রাজা, যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই বিজয়ী করবেন’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা বলেছেন, একটি ক্যাম্পাসের সঙ্গে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা করা ঠিক নয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রেক্ষাপট ও সংস্কৃতি এবং নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিবেক অনুযায়ী ভোট দেন। সুতরাং কারও জয়-পরাজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া অনুচিত। ভোটাররাই রাজা, তারা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই বিজয়ী করবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাবির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে সাংবাদিকদের এষা এসব কথা বলেন। এ সময় এষা কেন্দ্রের নারী ভোটারদের সারি, নির্বাচনি পরিবেশ এবং প্রশাসনিক তৎপরতাও পর্যবেক্ষণ করেন।
ছাত্রদলের এই এজিএস প্রার্থী বলেন, শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে সবাই আন্তরিকভাবে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবাই সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ করবেন, নির্বাচন উপভোগ করবেন এবং নিজেদের যোগ্য প্রতিনিধিকে সততার সঙ্গে বেছে নেবেন।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করে এষা বলেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলেই আমরা আশা করছি।
ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে এষা বলেন, ভোটের শতাংশ এখনই বলা কঠিন, তবে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ দেখে মনে হচ্ছে এটি রেকর্ড ভাঙা ভোট হতে পারে। শুরুতে যে ভয়-ভীতি ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল বুধবার যেমন প্রাণবন্ত পরিবেশ দেখা গিয়েছিল, আজও শিক্ষার্থীরা উৎসবের আমেজে মেতে আছেন। ভোটারদের উপস্থিতি ও উৎসাহ দেখে বলা যায়, শতভাগ না হলেও অন্তত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভোট পড়বে। এতে বোঝা যায় শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্র চর্চায় বিশ্বাসী এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে আগ্রহী।
জাহিন বিশ্বাস এষা বলেন, রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কেবল নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নয়, এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চেতনা ও অংশগ্রহণের প্রতীক। তিনি চান, বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।