গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সরে দাঁড়িয়েছেন ৩ মেয়রপ্রার্থী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/06/10/gopalganj-pic.jpg)
গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে আজ শুক্রবার সরে দাঁড়ালেন দুজন।
জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী পপা গত ৬ জুন সংবাদ সম্মেলন করে শেখ রকিব হোসেনকে (নারিকেল গাছ) সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় জন সমাবেশ করে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী জি এম সাহাবুদ্দিন আজম এবং বিকেলে শহরতলীর সোনাকুড়ে নিজ বাসভবনে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মো. রেজাউল হক শিকদার রাজু সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এই দুই প্রার্থীও শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানান এবং নির্বাচনে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এবারের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক প্রার্থী এবং বাকি নয়জন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন সদর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান।
এখনও যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন শেখ পরিবারের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ রকিব হোসেন, সাবেক মেয়র ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাসমালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান লিটন, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম নজরুল ইসলাম নুতন, দীলিপ কুমার সাহা দিপু, আবুল ফাত্তাহ সজু ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. দিদারুল ইসলাম (হাতপাখা)।
বিগত নির্বাচনে নয়টি ওয়ার্ডে ভোট হলেও আয়তন বাড়ার ফলে এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে ১৫টি ওয়ার্ডে। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ৬০ জন কাউন্সিলর এবং ২১ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টউনে ছেয়ে গেছে গোটা পৌর এলাকা। প্রচার-প্রচারণায় আর নির্বাচনি সভা সমাবেশে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে ডিজিটাল পৌরসভা বিনির্মাণের পাশাপাশি উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মেয়র পদপ্রার্থীরা। তবে, সদর পৌরসভায় ৫৫ হাজার ৬৬৭ ভোটার তাদের যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে জানান ভোটাররা।