সিরাজগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আল আমিন সরকারের নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর ও মারপিটের অভিযোগ উঠছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার দুপুরে পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরের উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নে এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল (৩৫) ও শাকিলকে (২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া রনি (২৩), মিলন (২২), লতা খাতুনসহ (৪৫) ছয়জনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন জানান, আজ দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনি ক্যাম্পে বসে ভোট প্রার্থনার জন্য বিভিন্ন এলাকায় কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে ৩০-৪০টি মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকার সমর্থকরা অতর্কিত ক্যাম্পে হামলা চালায়। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর ও সমর্থকদের মারপিট করে। এ সময় তারা নির্বাচনি ক্যাম্পের ২০-২৫টি চেয়ার ভাঙচুর করে এবং আল-আমিন সরকারের কর্মীদের মারপিট করে। এতে নারী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আটজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আল আমিন সরকার বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এবারও আমি প্রার্থী হয়েছি। আমার পক্ষে এলাকায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত জেনে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকরা আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর ও হুমকিধমকি দিয়ে আসছে। তারা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।’
‘আজ দুপুরে তারা পুকুরপাড় এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে এই হামলা চালিয়ে আমার নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করে। তারা ৮-১০ জন কর্মীকেও মারপিট করে আহত করেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’ যোগ করেন আল আমিন সরকার।
উল্লাপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেদ গনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আল-আমিন সরকারের নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।