লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪১
লেবানন জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় গতকাল রোববার (১০ নভেম্বর) কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে রাজধানী বৈরুতের উত্তরে এক হামলাতেই মারা গেছে কমপক্ষে ২৩ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে। খবর এএফপির।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া ইসরায়েল সম্প্রতি দেশটিতে বিমান হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বেশি হামলা চালানো হচ্ছে লেবাননের দক্ষিণে এবং রাজধানী বৈরুদের দক্ষিণ উপকন্ঠে।
লেবাননের উত্তরে জেবেইল জেলার আলমাত এলকায় গতকাল ইসরায়েলের বিমান হামলায় সাত শিশুসহ ২৩ জন নিহত হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার স্থানে লোকজনের দেহাবশেষ উদ্ধার ও শনাক্ত করার কাজ চলছে।
বৈরুত থেকে ৩০ কিলোমিটার শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত আলমাত গ্রামটি হিজবুল্লাহর আওতাধীন এলাকার বাইরে খ্রিস্টান অঞ্চলে অবস্থিত। সেখানকার একটি বাড়িতে একজন হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া নেতা প্রবেশের পরপরই হামলা চালানো হয়। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে ওই নেতার মৃত্যু হয়।
এএফপি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িটি থেকে উদ্ধারকর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। এছাড়া জঞ্জাল সরাতে এক্সেভেটরের সাহায্য নিতে হচ্ছিল সেখানে।
জেবেইল জেলার প্রতিনিধিত্বকারী পার্লামেন্ট সদস্য রাইদ বেরো সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে হিজবুল্লাহর অস্ত্র বিতরণ করার ইসরায়েলি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আরও জানান, যুদ্ধক্ষেত্রে কেবলমাত্র সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তকর্মীরা সম্পৃক্ত আছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট কের আলি হায়দার নামে সেখানকার একজন অধিবাসী বলেন, ‘বাড়িটিতে বালবেক থেকে আসা আমাদের ৩৫ জন স্বজন ছিলেন। এরমধ্যে ছিল নারী ও শিশুরাও।’ তবে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশিরভাগ আত্মীয়ই মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া, বালবেক অঞ্চলে গতকাল রোববার ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর সমর্থনপুষ্ট তিনজন উদ্ধারকর্মীসহ মোট ১২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।