ঢাকা-১৭ আসনে সাত প্রার্থীর দুজনই গণতন্ত্রী পার্টির
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ১৭ জুলাই। আজ রোববার (১৮ জুন) নির্বাচন কমিশন (ইসি) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করেছে। তারা সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে। এই সাতজনের মধ্যে দুজনই গণতন্ত্রী পার্টির।
গণতন্ত্রী পার্টির দুজনের মধ্যে একজন মো. কামরুল ইসলাম, অন্যজন অশোক কুমার ধর।
ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, মো. কামরুল ইসলাম এইচএসসি পাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি ব্যবসা থেকে বছরে আয় করেন তিন লাখ ৪৯ হাজার ৬০ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন এক লাখ টাকা। আর কামরুল ইসলামের ওপর নির্বরশীলদের বছরে আয় তিন লাখ টাকা।
মো. কামরুল ইসলামের কাছে নগদ টাকা রয়েছে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে তিন লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে কামরুলের বিনিয়োগ ১০ লাখ টাকা। আর একই খাতে তার স্ত্রী বিনিয়োগ ১১ লাখ টাকা। কামরুলের স্বর্ণ রয়েছে ২০ তোলা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ২০ হাজার টাকার এবং আসবাবপত্র রয়েছে এক লাখ টাকার। কামরুলের অকৃষি জমি রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮০ টাকা।
অশোক কুমার ধরের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ও দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি হলফনামায় দুটি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে, মামলার বিবরণ দেননি।
অশোক কুমার ধর ব্যবসার মাধ্যমে বছরে আয় করেন ১৭ লাখ দুই হাজার ৭৮৯ টাকা। চাকরি বা পেশার মাধ্যমে আয় করেন দুই লাখ ২৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে, অশোক কুমার ধরের স্ত্রী চাকরি থেকে বছরে আয় করেন নয় লাখ ৬০ টাকার টাকা।
এ ছাড়া অশোক কুমার ধরের হাতে নগদ দুই লাখ ও স্ত্রীর হাতে পাঁচ লাখ টাকা রয়েছে। অশোকের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮২ টাকা। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্ত্রীর রয়েছে ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে স্বর্ণ রয়েছে ১০ লাখ টাকার। অশোকের ইলেকট্রনিক সামগ্রী এক লাখ, আসবাবপত্রের পাঁচ লাখ ও অন্যান্য জিনিসপত্রের মূল্য দেখানো হয়েছে এক লাখ টাকা।
হলফনামায় এসব তথ্যের পাশাপাশি অশোক কুমার ধর আরও জানিয়েছেন, তার কৃষি জমির আর্থিক মূল্য ১৫ লাখ ও স্ত্রীর কৃষি জমির আর্থিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। অশোকের অকৃষি জমির আর্থিক মূল্য দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ টাকা, দালানের মূল্য দেখানো হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। এ ছাড়া অশোক কুমার ধরের নিজ নামে ৬১ লাখ ছায় হাজার ৭৭১ টাকার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। একইভাবে তার স্ত্রীর নামেও ৬১ লাখ ছায় হাজার ৭৭১ টাকার একটি ফ্ল্যাটের কথা বলা হয়েছে হলফনামায়।