চাঁদপুরের দুই উপজেলায় কেন্দ্রে নেই ভোটারের সারি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ বুধবার (৫ জুন)। তবে উপজেলাগুলোর ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেলা ১১টা পর্যন্ত খুব কম ভোটার দেখা গেছে। কেন্দ্রেগুলোর কোনো কোনো কক্ষে ভোট পড়েছে ১৫ থেকে ৩৫টি।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কচুয়া উপজেলা সরকারি পলিটেকনিক্যাল ও কোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পলিটেকনিকেল কেন্দ্রের নিচতলার নারী ভোটার কক্ষে ইভিএম মেশিনের মনিটরে গৃহীত ভোটের সংখ্যা দেখা গেছে শূন্য। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা সদরের কোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মহিলা ভোটাদের কক্ষে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বেশি ছিল। তবে নারী ভোটাররা ইভিএমে এই প্রথম ভোট দেওয়ার কারণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই ভোটকেন্দ্রে নিচতলায় দ্বিতীয় কক্ষে দেখা গেছে, প্রায় আড়াই ঘণ্টায় ভোটগ্রহণ হয়েছে ৩৯৩ ভোটের মধ্যে ২৫টি।
এই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানান, ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি বললেও তারা বুঝেন না। যে কারণে প্রতি কক্ষে ভোটারের দীর্ঘ লাইন না থাকলেও ভোটগ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে।
কচুয়া পলিটেকনিক্যাল পুরুষ ভোটকক্ষের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সরকার ও নারী ভোটকক্ষের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহীনুর আক্তার জানান, এখানে নারী ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪০৯ জন। সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ চলছে। এ পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।
এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সুবিদপুর ইউনিয়নে বড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা বেশি। পার্শ্ববর্তী আষ্ট্রা মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।
কচুয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দুই উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা নিরাপদে ভোট দেওয়ার জন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার রয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই উপজেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’