পোশাক কারখানায় বহিরাগতদের পেলেই আটক করবে পুলিশ : বিজিএমইএ
পোশাক শিল্প এলাকায় যারা অস্থিরতা তৈরি করছে আজ থেকে তাদের আটক করবে পুলিশ। তাদরকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক আন্দোলনে গত কয়েকদিনে ১৬৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। যদিও এই আন্দোলনে শ্রমিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বহিরাগতদের হামলায় পোশাক কারখানায় এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারখানার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় আজ গার্মেন্টসগুলোর মালিকরা চালুর করে। এখন পর্ষন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, এমন কোন তথ্য আসেনি।
এতদিন বহিরাগতরা পোশাক কারখানায় ঝামেলা করছিল জানিয়ে খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নেই। এসব ঝামেলায় অভ্যন্তরীণ কেউ জড়িত না। কিন্তু বহিরাগত কারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের চিহিৃত করা সম্ভব হয়নি। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েছে। পুলিশ আমাদের নিশ্চিত করেছে, যে তারা আটক করা ক্ষমতা পেয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁরা এখন পোশাক শিল্প এলাকায় কঠোর অবস্থানে আছে। এসব এলাকায় যারা অস্থিরতা তৈরি করছে, আজ থেকে তাদের দেখা মাত্র আটক করবে পুলিশ। তাদরকে সেই পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
প্রতি মাসের শুরুর সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের নিয়ম রয়েছে জানিয়ে খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা পোশাক কারখানার মালিক সবাই মেনে চলে। গুটি কয়েক পোশাক কারখানায় মালিক বেতন পরিশোধের দেরি করতে পারে। তবে বিজিএমইএ এই ব্যাপারে সজাগ। আশা করছি, বেতন পরিশোধে ঝামেলা হবে না। এরপর যেন ঝামেলা না হয়, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অবহিত করেছি। যেন এই ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা পাই।
বর্তমানে আমরা কঠিন সময় পার করছি জানিয়ে বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, মাঠে আর্মি আছে, কিন্তু তাদের হাতে আটকের ক্ষমতা নেই। সেই আটকের ক্ষমতা পুলিশের কাছে আছে। পুলিশ নিজেরাই অস্থিরতার মধ্যে ছিল। সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সেখান থেকে তাদের বের করে আনা হয়েছে। আজ পুলিশ পোশাকশিল্প এলাকায় তাদের দায়িত্ব পালন করছে। নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা কঠোর হয়েছে। বহিরাগত যারাই হামলা চালাবে, পুলিশ কাউকে ছাড় দিবে না, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আটক করা হবে। একই সাথে আইনি ব্যবস্থা নিবে।