চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে পোশাকশিল্প এখন স্থিতিশীল : বিজিএমইএ
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে পোশাকশিল্প সফলভাবে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সাংবাদিক সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে বিজিএমইএ বোর্ড প্রতিকূল পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের পোশাক খাত ক্রেতাদের আস্থা ফিরে পাচ্ছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। সামরিক বাহিনীর সহায়তায় বিজিএমইএ কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছে।
পোশাক কারখানার আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। জবাবে বিজিএমইএ নেতা জানান, বিজিএমই নেতারা অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে না পারলেও অনেক কারখানা এখনও ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিতে পারছে না। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। এ ছাড়া পোশাকশিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিকের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এ উদ্যোগের উদ্বোধন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিজিএমইএর অনুরোধে সাড়া দিয়ে পোশাক কারখানার ইস্পাত কাঠামোর জন্য অগ্নিপ্রতিরোধক রেটিংয়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।