আন্তর্জাতিক
কাতার সংকট ও বৈশ্বিক সমীকরণ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/07/26/photo-1501043050.jpg)
সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো কাতার অবরোধ করে অত্যন্ত দ্রুততর সময়ে ‘আত্মসমর্পণ’ আশা করেছিল। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কাতারকে কাবু করতে না পারায় তাদের মুখে এখন নমনীয়তার সুর লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিশ্ব কাতার অবরোধের বিষয়টিকে সৌদি পক্ষের ‘আক্রমণাত্মক মনোভাবের প্রতিফলন’ বলেই গ্রহণ করেছে। আরব বিশ্বের কতিপয় ‘দরবারে আলেম’ ছাড়া সৌদি পক্ষে কোনো মতামত দেখা যায়নি। গোটা বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ—সকলেই মানবিকতাবিরোধী সর্বাত্মক অবরোধের নিন্দা করেছে। সৌদিবলয়ের বাইরে পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্র ‘রক্ষণশীলদের’ পক্ষে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেনি। তার মানে হলো, রাষ্ট্রিক এবং বেসরকারি কোনোভাবেই রাজা-বাদশা, আমির-ওমরাহগণ কোনো সমর্থন লাভ করেননি; বরং বহির্বিশ্ব থেকে সমঝোতার জন্য সৌদিদের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ ও অনুরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন ও মিসর গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাদের অভিযোগ, সন্ত্রাসবাদী একাধিক সংগঠনের কার্যক্রমে কাতার নৈতিক সমর্থন ও অর্থনৈতিক মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে। তবে কাতার এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। দোহা সরকার প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে, যে বিবৃতিটিকে কেন্দ্র করে কাতারকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, আসলে সেই বিবৃতিটি কাতার সরকারের নয়। সংবাদ সম্মেলন করে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘কাতারি তদন্ত করে জানতে পেরেছেন, বিপিএন সফটওয়্যার ব্যবহার করে এপ্রিলের শুরুর দিকে হ্যাকাররা কাতার বার্তা সংস্থার ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং ওয়েবসাইটটি স্ক্যান করেছিল। হ্যাক করা ওই সংবাদে দেখা যায়, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইজবুল্লাহ ও ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় টিকে থাকবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কাতারি অভিযোগের অঙ্গুলিসংকেত সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএইর প্রতি। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে কাতারের ওই অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নতুন করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, হ্যাকিংয়ের সঙ্গে আমিরাতের সংযোগ রয়েছে। অবশ্য আমিরাত সরকার মার্কিনিদের এ তথ্য উপেক্ষা করে আগ বাড়িয়ে বলে, ‘তালেবান থেকে শুরু করে হামাস ও গাদ্দাফি পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন ও সমর্থন দেওয়াটা তাদের কাজ। সহিংসতায় উসকানি দেওয়া, চরমপন্থীকে উৎসাহিত করা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর স্থিতিশীলতা নষ্ট করাটা কাতারের স্বভাব।’
অবরোধ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কাতার সরকারের ‘ধীরস্থির এবং শক্ত’ কূটনৈতিক কৌশল এরই মধ্যে বহির্বিশ্বের প্রসংশা কুড়িয়েছে। যেমন—অবরোধমূলক ১৩ দফার বিপরীতে কাতার সরকার ওই সব দেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অথচ দৃঢ়তার সঙ্গে ১৩ দফা শর্ত পূরণের সময়সীমা বেঁধে দিলে কাতার সেগুলো প্রত্যাখ্যান করে। কাতার মনে করে, ওই সব দাবি, যেমন—কাতার ভূখণ্ড থেকে তুর্কি সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস এবং আলজাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া; এসব দাবি মেনে নেওয়া হলে কাতারের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। কাতার তার মিত্র দেশগুলোকে সুকৌশলে কাজে লাগায়। প্রথমত, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরো তুষ্ট করার নীতি গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, কাতারের মাটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং সেখানে ১০ হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে। সংকটের পরে কাতারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া কাতার তার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করেছে। মনে করা হচ্ছে, মার্কিন সৌদিদের আস্থা পুনরুদ্ধারে এ আইনের সংশোধন করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, কাতার মার্কিন মিত্র তুরস্ককে যথার্থভাবে কাজে লাগিয়েছে। তুরস্ক প্রথম থেকেই কাতারকে খাদ্য ও মানবিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেছে। তুর্কি নেতা এরদোয়ান কাতারের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। অবশেষে এরদোয়ান অচলাবস্থা নিরসনে নিজেই মাঠে নেমেছেন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান ২৩ জুলাই আরব বিশ্ব সফরের উদ্দেশ্যে রিয়াদ পৌঁছান। সেখানে তিনি সৌদি বাদশা সালমানের সঙ্গে বৈঠক করার পর বলেন, চলমান কূটনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি সৌদি আরবকে মুসলিম উম্মাহর অভিভাবক এবং পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। এরপর ২৪ জুলাই এরদোয়ান কুয়েতে গিয়ে দেশটির আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল সাবাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। তুর্কি নেতা কুয়েতের মধ্যস্থতা প্রয়াসের প্রসংশা করেন। কুয়েত সফর শেষ করে ওই দিনই এরদোয়ান কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছলে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন আহমদ আল থানি।
তৃতীয়ত, কাতারের নিকটতম প্রতিবেশী সাগরের ওপারের ইরানকে কাজে লাগান। ইরান উপসাগরের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত মিত্র দেশকে সাহায্য-সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেন। তারা পর্যাপ্ত খাদ্য সাহায্য ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলে বার্তা সংস্থার খবরে জানা গেছে।
আগেই বলা হয়েছে, নীরব কূটনীতিতে কাতার এগিয়ে আছে। সমঝোতা প্রয়াসের প্রতি নৈতিক সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন খ্রিস্টান জগতের ধর্মগুরু ফ্রান্সিস থেকে পাশ্চাত্য বিশ্বের সব নেতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাদশা’ ডোনাল্ড ট্রাম্প নরম-গরম বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে আসর সরগরম করলেও কাতারকে পকেটস্থ করাই তার প্রধান লক্ষ্য বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে। এই গত সাত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে দুবার পাঠিয়েছেন রিয়াদে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। তিনি গোল দিতে পারেননি। দৌড়ঝাঁপ কূটনীতির অংশ হিসেবে গেল কয়েক দিনে টিলারসন রাজধানী থেকে রাজধানীতে ছুটে বেরিয়েছেন। সৌদি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাপের পর সমঝোতার আশা করেছিলেন টিলারসন। প্রথমবার কাতারে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘সংকটের ব্যাপারে কাতারি সরকারের যুক্তিসঙ্গ মতামত রয়েছে।’ পর্যবেক্ষকরা অনুমান করছেন, সৌদি জোটের একগুঁয়েমি অতিক্রমে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ রোধে অর্থ সরবরাহ বন্ধে কাতার-মার্কিন যে চুক্তি এরই মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় প্রতিপক্ষ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী নোরা আল কাবি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তাঁরা এই চুক্তিকে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না। এই মন্ত্রী আরো অভিযোগ করেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে কাতার দুবার চুক্তি করে। এরপর আরো একটি সম্পূরক চুক্তি হয়। সেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে ঠেকানোর লড়াইয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সবই ছিল মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। আমিরাত মন্ত্রী অবশেষে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।’ প্রবল শক্তিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিধর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরফ গলাতে পারছেন না বলে নিজ দেশে এবং বিদেশে সমালোচিত হয়েছেন।
তবে পাল্লা এখন কাতারের দিকেই ঝুঁকছে বলে আন্তর্জাতিক মহল মনে করেন। ১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত সমর্থন এখন দায় থেকে হলেও কাতারের দিকে থাকার কথা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাইজাম্প-লংজাম্পের পরও মার্কিন প্রশাসনের ধারাবাহিকতা এবং উচ্চারিত বিবৃতিগুলো কাতারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। ২. এদিকে কাতারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাজ্য ২৪ জুলাই এক বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা সংশ্লিষ্ট আরব দেশগুলোতে কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়। অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আলোচনার জন্য কাতার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা সমর্থন করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কাতারের অঙ্গীকারকে স্বাগত জানান। যুক্তরাজ্য আশা করে, চার আরব দেশ অবরোধ প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। ৩. এরই মধ্যে আলজাজিরা প্রশ্নে বিশ্ব জনমতের প্রাবল্য তাদের হয়তো ভরকে দিয়ে থাকবে। নতুন করে আক্রমণাত্মক মন্তব্যের পাশাপাশি নমনীয় মন্তব্যও পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি প্রস্তাব করেন, ‘সংবাদমাধ্যমটির জন্য নতুন এবং বহিরাগতভাবে নজরদারি করার মতো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, সৌদিরা এখন আর আলজাজিরা টিভি স্টেশনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনড় অবস্থানে নেই। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল সানি লন্ডনের চেথাম হাউসে বক্তব্য দিতে গিয়ে আলজাজিরাকে স্বাধীন গণমাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন।
দৃশ্যত মনে হচ্ছে, কাতার সংকট সমাধানে আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে সৌদি জোট। দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদকারী সৌদি নেতৃত্বাধীন চার দেশের জোট মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে আরো ছয়টি নীতিমালা বাস্তবায়নে কাতার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আল মোয়াল্লেমি বলেন উসকানি ও সহিংসতা বন্ধ করা জরুরি। তিনি বলেন, আলজাজিরা বন্ধ করা আবশ্যক নয়। মূল উদ্দেশ্য ও নীতিমালাই গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘে নিযুক্ত সৌদি কূটনৈতিক জানান, এর আগে কায়রোতে সংকট সমাধানে চার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কাতার সংকট নিরসনে ছয়টি নীতিমালার ব্যাপারে একমত হয়েছে চার দেশ। সৌদি জোট আশা করছে, কাতার এসব নীতিগত অবস্থানের প্রতি সমর্থন দেবে।
নতুন ছয় নীতিমালার মধ্যে রয়েছে—চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন ও তাদের নিরাপদ আশ্রয়দান বন্ধ, সহিংসতা ও বিদ্বেষ ছড়াতে পারে এমন উসকানিমূলক সব ধরনের কার্যক্রম ও বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকা। আল মোয়াল্লেমি মন্তব্য করেন যে এ ছয় নীতিমালা মেনে নেওয়া কাতারিদের জন্য সহজ হবে। আরো নমনীয় খবর হলো কাতারের সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও ওয়েবসাইট সৌদি আরবে আকস্মিকভাবেই খুলে দেওয়া হয়। তবে পরে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। কারিগরি ত্রুটির জন্য সম্প্রচার ব্যাহত হয়েছে বলে বলা হয়। তবে ওই সব দেশে আলজাজিরার প্রচার এখনোও বন্ধ রয়েছে।
কাতার যেভাবে স্বকীয় নমনীয় ও কমনীয় কূটনৈতিক ধারা অবলম্বন করছে এবং বহির্বিশ্বে যেভাবে অবরোধের বিষয়টি সমালোচিত হয়েছে, তাতে আশা করা যায় যে সংকটের সমাধানে দীর্ঘ সময় লাগবে না। সংকট যতই বিস্তৃত হবে, আরব বিশ্ব থেকে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। এমনিতেই এখন বিশ্বে নানাবিধ সমীকরণে চতুর্মুখী বিভক্তি দেখা দিচ্ছে। আরব বিশ্বের সংকটের পরিধি ভূমধ্যসাগর থেকে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এ সীমারেখা অতিক্রম করলে সমাধানের জাদুর কাঠি তাদের কাছে আর থাকবে না। সুতরাং সাধু সাবধান।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।