কাশ্মীর
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ কি অত্যাসন্ন?
ভারত ও পাকিস্তানের বৈরিতা চিরকালের। ১৯৪৭ সালে দৃশ্যত বৈরিতার মাঝেই রাষ্ট্র দুটোর জন্ম। সে সময় হিন্দু- মুসলমানের প্রবল বৈরিতাকে উপসমের জন্য দুটো পৃথক রাষ্ট্রের সৃষ্টি করা হয়। যারা অভিন্ন ভারতে বিশ্বাস করত তারা কোনঠাসা হয়ে পড়ে। উভয় গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বশীল কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ অবশেষে ভারত বিভক্তির মাধ্যমে বৈরিতার অবসান হবে বলে মনে করে। সেদিন কংগ্রেসের মুসলিম বিদ্ধেষী অংশ এবং মুসলিম লীগের চরম পন্থিরা প্রকারন্তরে দ্বি-জাতি তত্ত্বের স্বীকৃতি দেয়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রভুরা তাদের দাবি অনুযায়ী ‘ভাগ করে ছেড়ে দেয় (Divided and Quit)। উত্তরাধিকার সূত্রে দুটো দেশ এমন সব বৈরিতা প্রাপ্ত হয় যা তাদের চির শত্রুতার দিকে ধাবিত করে।
উরি হামলা : গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় কাশ্মীরের উরির সেনা ঘাটিতে বৈরি হামলায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর ১৭ জন সৈনিক নিহত হন। মারাত্মকভাবে আহত হন কমপক্ষে আরো ২০ জন। গেরিলা যুদ্ধে চোরাগুপ্তা হামলায় সাধারণত এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে না। তাই বিষয়টি ভারতের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়ায়। ভারত সরকার স্বাভাবিকভাবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঘটনাটি ঘটে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর। ১৯৪৮ সাল থেকে কাশ্মীরের এই নিয়ন্ত্রণ রেখা উভয় রাষ্ট্র অনিচ্ছাকৃত ভাবে মেনে চলছে।
সাম্প্রতিক ঘটনা : দুই মাস ধরে ভারত শাসিত কাশ্মীরে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তহে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কাশ্মীর নেতা বুরহান ওয়ানী নিহত হওয়ার পেক্ষাপটে এ উত্তেজনা দেখা দেয়। ঐ ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভকারীদের সাথে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ চলে আসছিল। ইতিমধ্যে সেখানে ৮৫ জন কাশ্মীরি হত্যার শিকার হয়েছে। সেখানে ভারতীয় বাহিনীর নির্যাতানের নমুনা হিসেবে কিশোর নাছির সাফির হত্যার কথা উল্লেখ করা যায়। মাত্র ১১ বছরের এই স্কুলছাত্র সাফিকে ভারতীয় বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। এতে উপত্যকায় উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক কী পরিমাণ শক্তি প্রয়োগ ঘটেছে তার প্রমাণ মিলে তাদের কাশ্মীর হাইকোর্টে প্রদত্ত তথ্যে। তারা স্বীকার করে যে, মাত্র ৩২ দিনে ১.৩ মিলিয়ন গুলি ছুড়েছে। আল জাজিরার সাথে সাক্ষাৎকালে একজন কাশ্মীরি ডাক্তার স্বীকার করেন যে, ২০১০ সালের পর থেকে প্রায় প্রতিদিন আহত নিহত লোক হাসপাতালে আসছে। তাদের অনেকের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পেক্ষাপটে উরির হামলা সংঘটিত হলো।
ঘটনার উৎসমূল : ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের মধ্যেই বিরোধের উৎসমূল নিহিত। ভারত বিভাগ আইন অনুযায়ী হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে হিন্দুস্তান এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে পাকিস্তান গঠিত হয়। আরো সিদ্ধান্ত হয় যে তৎকালীন ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলো তাদের নিজ নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী ভারত বা পাকিস্তানে যোগদান করতে পারবে। বৃহৎ দেশীয় রাজ্য কাশ্মীরের শাসক ছিল হিন্দু। অপর দিকে জনসাধারণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল মুসলিম। অপরদিকে ভারতের দক্ষিণাংশে অবস্থিত সমৃদ্ধ দেশীয় রাজ্য নিজাম শাসিত হায়দরাবাদ পাকিস্তানে যোগদান করে। অথচ সেখানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণ ছিল হিন্দু। উভয় রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণের আশা আকাঙ্ক্ষার বিপরীত ঘটনা ঘটে। কাশ্মীরের জনগণ পাকিস্তানে যোগদানের জন্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। অপরদিকে হায়দরাবাদের হিন্দু জনগণ ভারতে যোগদান করতে চায়। ভারত সরকার হায়দরাবাদকে একীভূত করে নেয়। পাকিস্তান সরকার কাশ্মীরকে একীভূত করে নিয়ে চায়। যেহেতু কাশ্মীরের রাজা ভারতে যোগদান করেছে সেই যুক্তিতে ভারত সরকার রাজার স্বপক্ষে কাশ্মীরে সেনাবাহিনী প্রেরণ করে। ভারত কাশ্মীরের বেশির ভাগ দখল করে নেয়। পাকিস্তান তার উত্তর -পূর্ব সীমান্তে সফলতা অর্জন করে। সেই থেকে কাশ্মীর বিভক্ত। বিভাজন রেখা পরবর্তীকালে এক রকম স্থায়ী সীমা রেখার রূপ নিয়েছে। কিন্তু উভয় রাষ্ট্রই কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিজাতি তত্ত্বের বিভাজনের চেয়ে এখন কাশ্মীরের বিভাজন রেখা চির শত্রুতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে দুটো দেশ ১৯৪৮ এবং ১৯৬৫ সালে ঘোষিত যুদ্ধে লিপ্ত হয়। আর অঘোষিত খণ্ড যুদ্ধ হয়েছে অনেকবার। উল্লেখ্য, বিরোধটি ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘে উত্থাপিত হয়। গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের ভিত্তিতে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। উভয় রাষ্ট্র গণভোটের প্রস্তাব মেনে নেয়। ভারত কখনই বাস্তবে গণভোটের প্রস্তাব কার্যকর হতে দেয়নি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজন নীতির পরিপ্রেক্ষিতে যদি দেশীয় রাজ্যগুলোর ভাগ্য নির্ধারিত হতো তাহলে ভারত পাকিস্তানের এ বৈরিতা চিরস্থায়ী হতো না।
অব্যাহত বিরোধ : ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ কাশ্মীরকে নিয়েই আবর্তিত হয়েছে। কাশ্মীরি জনগণ তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও অনিয়মতান্ত্রিক- সব ধরনের লাড়াই করে যাচ্ছে। নিয়মতান্ত্রিক লাড়াই অবশেষে অনিয়মতান্ত্রিক লড়াই- আন্দোলন, গেরিলা যুদ্ধ এবং সহিংস তৎপরতায় পর্যবসিত হয়েছে। ভারত প্রাথমিক পর্যায় কাশ্মীরি জনগণের মন জয় করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যতিত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। পরবর্তীকালে ভারত ক্রমশ মনতুষ্টির বদলে শক্তি প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে। কাশ্মীরের জনগণকে পাকিস্তান যেমন ভারত বৈরিতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে ঠিক তেমনি কাশ্মীরি জনগণের প্রতিটি প্রকৃত স্বাধীনতা সংগ্রামকে ভারত পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র বলে চিহ্নিত করেছে।
সংবেদনশীল বিষয় : কাশ্মীরের বিষয়টি উভয় দেশ ও সরকারের জন্য একটি সংবেদনশীল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিটি নাগরিক কাশ্মীরি জনগণের প্রতি সহনুভূতিশীল। পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী কাশ্মীর বিষয়ে যুদ্ধবাজ। পাকিস্তানের কোনো সরকার যদি কাশ্মীর ভারতে হাতে ছেড়ে দেয় তাহলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কোনোক্রমেই সম্ভব হবে না। অপর পক্ষে ভারত কাশ্মীরকে সাংবিধানিকভাবে তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে অভিহিত করেছে। ভারতীয় জনগণ কাশ্মীরের ব্যাপারে কোনো সরকারের ছাড় দেওয়াটা মেনে নেবে না। যদিও অরুন্ধতির মতো সাহসী বুদ্ধিজীবী কাশ্মীরের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। অপরদিকে অন্যরা কাশ্মীর থেকে ভারতের চলে যাওয়াটাকে কোনোক্রমেই মেনে নিতে চায় না। তারা কাশ্মীরকে ভারতের জন্য ইজ্জতের সওয়াল মনে করে।
উরি হামলার নেপথ্যে : ভারতীয় সেনাবাহিনী উরি হামলার জন্য পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীরি ইসলামী জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদকে দায়ী করেছে। তারা দাবি করে, জইশ-ই মোহাম্মদ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সীমান্ত অতিক্রম করে তাদেরই সামরিক সহায়তায় এ হামলা পরিচালনা করে। হামলার পর যে চারজনের মৃত দেহ পাওয়া গেছে তাদের কাছে একে ৪৭ রাইফেল, গ্রেনেট লঞ্চার এবং অন্য যেসব সামরিক সরঞ্জামাদি যা পাওয়া গেছে তাতে পাকিস্তানি ছাপ ছিল।
মোদি সরকারের প্রতিক্রিয়া : ভারতীয় সরকার, রাজনৈতিক নেতা এবং সংবাদপত্র এই হামলার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এই জগন্য হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ শিং বলেন, ‘পাকিস্তান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সারা বিশ্বের উচিত তাকে একঘরে করা।’ হিন্দুত্ববাদী শাসক বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাদপ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কৌশলগত সংযমের সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। সন্ত্রাস হচ্ছে ভীতু ও দুর্বলের কাজ। যদি এ ধরনের বারবার হামলার জবাব দেওয়া না হয় তাহলে তা হবে অযোগ্যতা এবং অদক্ষ্যতার প্রমাণ। তাঁর সাথে একই সুরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শিখর গুপ্ত বলেন, পাকিস্তান যদি মনে করে ভারত অতীতের মতোই নিরুত্তাপ থাকবে তাহলে তারা ভুল করবে। বিজেপির হিন্দু মৌলবাদী অংশ দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে পাকিস্তান আক্রমণের জন্য প্ররোচিত করে আসছে।
পাকিস্তানের যুদ্ধংদেহী অবস্থান : পাকিস্তান এক বিবৃতিতে হামলার দায় দায়িত্ব অস্বীকার করে বলেছে- এটি কাশ্মীরি জনগণের ওপর ভারতীয় নির্যাতন সৃষ্ট প্রত্যুত্তর। ভারতের প্রতিশোধ গ্রহণ ইচ্ছেকে পাকিস্তান বলেছে, ‘সেটি হবে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’। উভয় দেশের এই যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে সমর বিশারদরা বলছেন, ভারতের প্রতিশোধ স্পৃহার কারণে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
মার্কিন মন্তব্য : উরি হামলার অব্যবহিত পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে উরি হামলার নিন্দা করে এবং ভারতের সাথে কৌশলগত সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া : উরি হামলার ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উত্তেজনা তীব্রতর করেছে। এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের সংবেদনশীল সাম্প্রদায়িক বিষয়টি আবার গোটা ভারতব্যাপী উত্তেজনার কারণ সৃষ্টি করতে পারে। ভারতীয় জনগণের একটি অংশ সব সময় পাকিস্তানের যেকোনো কার্যকালাপের জন্য মুসলমানদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশ পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ার কারণে পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ধরনের যুদ্ধের পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। যদিও দৃশ্যত গতানুগতিক যুদ্ধে ভারতের রয়েছে বিপুল সামরিক প্রাধান্য, পাকিস্তান যদি এই প্রাধান্যের জবাব পারমাণবিক শক্তি দিয়ে দিতে চায় তাহলে তা উভয় দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে। উভয় রাষ্ট্রের যুদ্ধ প্রস্তুতি আন্তর্জাতিক সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যে এই অঞ্চলকে বিশ্বের সর্বাধিক পারমাণবিক বিপজ্জনক এলাকা (World’s Most Dangerous Nuclear Flashpoint) বলে উল্লেখ করেছে।
চীনের অবস্থান : উপমহাদেশের এই দ্বান্দ্বিক অবস্থায় চীন সব সময়ই পাকিস্তানের পক্ষে রয়েছে। বৈশ্বিক পেক্ষাপটে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে অবস্থান করে। অপরদিকে ভারত চীনের চির বৈরিতা পাকিস্তানের জন্য সুবিধাজনক সমীকরণ তৈরি করেছে। ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামরিক সমঝোতা এবং কৌশলগত অবস্থান চীন পাকিস্তান নৈকট্য আরো তরান্বিত করেছে।
প্রকাশিত সংবাদ-ভাষ্যে প্রতীয়মাণ হয় যে, উপমহাদেশের এই দুটি দেশে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে। এখন আমাদের দুটো দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দূরদর্শিতা এবং মানবিকতার ওপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই। সমর বিশারদরা অবশ্য সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই ভেবে যে, উভয় পক্ষ যেহেতু পারমাণবিক শক্তিধর- সমানে সমান। সুতরাং তারা নিশ্চয়ই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনবে না। উপমহাদেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন শান্তির প্রত্যাশায় প্রার্থনা করছে।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়