বিদেশি যাত্রীদের জন্য পবিত্র ওমরাহ শুরু

Looks like you've blocked notifications!
গতকাল শনিবার সৌদি আরবের জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে প্রথম ফ্লাইটে আসা ওমরাহ যাত্রীদের একাংশ। ছবি : এনটিভি

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর থেকে পবিত্র ওমরাহর কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সফলভাবে কয়েকটি ধাপ পেরোনোর পর আজ রোববার থেকে বিদেশি যাত্রীরা পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে দৈনিক ২০ হাজার মুসল্লি ওমরাহ পালন এবং ৬০ হাজার মুসল্লি মসজিদুল হারামে নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন। করোনা মহামারি সম্পূর্ণ দূর হওয়ার পর মক্কার মসজিদুল হারাম ও ওমরাহর কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।

এরইমধ্যে গতকাল শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাহ পালনের জন্য যাত্রীরা সৌদি আরব এসে পৌঁছেছেন। সৌদি আরবের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ওমরাহর তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম পর্বে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, লেবানন, ওমান, সুদান, তিউনিসিয়া ও পাকিস্তানের নাগরিকরা ভিসা পেয়েছেন। অন্য দেশগুলোও দ্রুত ভিসা পাবে বলে জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যেসব দেশে করোনার প্রকোপ কমেছে এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে তারা অগ্রাধিকার পাবে।

সৌদি আরবের অনুমোদিত ৫৩১টি ওমরাহ কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ওমরার যাত্রীদের সেবাদানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিদেশি ওমরাহর যাত্রীদের জন্য একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, পবিত্র ওমরাহ পালনে বিদেশ থেকে আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের সাবধানতা এবং নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

এদিকে ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে মসজিদুল হারামের ভিতর-বাহির ও মাতাফসহ পুরো কাবা এলাকায়। চার হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী এ কাজে অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন স্প্রে করা হচ্ছে এক হাজার ২০০ লিটার জীবাণুনাশক।

কাবা শরিফ তথা পুরো মসজিদুল হারাম এলাকা রাত-দিন মিলিয়ে ১০ বার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত প্রযুক্তির ডিটারজেন্ট এবং জীবাণুনাশক ব্যবহার করা হয়। সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিদিন ১২ লিটার সুগন্ধি ছিটানো হয়।

এদিকে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিযেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে ওমরাহ পালন শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো ওমরাহকারী করোনায় আক্রান্ত হননি। তারপরও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সরকার।