মার্চে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে মালয়েশিয়া, লাগবে না কোয়ারেন্টিন

Looks like you've blocked notifications!
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বিমানবন্দরে যাত্রীরা। ফাইল ছবি : সংগৃহীত

বিদেশি পর্যটকদের জন্য আগামী ১ মার্চ থেকে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে মালয়েশিয়া। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ব্যবহারকারীদের আর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। তবে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেই সবাইকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে এবং অবাধে প্রবেশের শর্ত হিসেবে নেগেটিভ রিপোর্ট আসতে হবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার জাতীয় কোভিড রিকভারি কাউন্সিলের (এনআরসি) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তান শ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দেশটির সীমান্ত বন্দরগুলোও বর্তমান ঝুঁকি মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এনআরসি’র চেয়ারম্যান মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় প্রবেশকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশের আগে ও পরে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে। যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। মালয়েশিয়ায় পৌঁছার পর আবারও কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। সেখানে ফল নেগেটিভ হলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।’

এর আগে মালয়েশিয়ার জাতীয় পুনরুদ্ধার কাউন্সিলের (এনআরসি) এক বৈঠকে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল জাইমি দাউদ সীমান্ত খোলার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

মুহিউদ্দিন ইয়াসিন আরও জানান, এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী খায়েরি জামালউদ্দিন এনআরসিকে বর্তমান মহামারি পরিস্থিতি বিশেষ করে ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের বিস্তার সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

করোনা সংক্রমণ ও মহামারি ঠেকাতে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। কারণ মহামারির গত দুই বছরে এশিয়ার যেসব দেশ সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে, সেসবের মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম। সরকারি হিসাবেই মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৯ লাখ ২৫ হাজার ২৫৪ জন এবং এ রোগে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩২ হাজার ৪৩ জনের। এর মধ্যে মঙ্গলবার দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৯৪৪ জনের।

তবে, করোনা মহামারির বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেলেও জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অত্যন্ত সফল মালয়েশিয়া। দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পন্ন করেছেন। আর, তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক।

এ ছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি অপ্রাপ্তবয়স্কদের ৮৯ শতাংশ টিকার দুই ডোজ নিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে মালয়েশিয়ায়। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার তিন প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সফল হওয়ায় মালয়েশিয়াও আগের অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল।

এরই মধ্যে অবশ্য এক দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণনীতি চালু করেছে মালয়েশিয়ার সরকার।