মালয়েশিয়ায় আটকেপড়া ১২০ বাংলাদেশিকে চাকরি দিয়েছে শ্রমবিভাগ

Looks like you've blocked notifications!
মালয়েশিয়ায় আটকেপড়া বাংলাদেশিরা। ছবি : ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে

চার মাস আগে বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরও চাকরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন প্রায় ১২০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। অবশেষে মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন পর ওই বাংলাদেশিরা দেশটিতে চাকরি পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় আটকেপড়া শ্রমিকদের একটি নতুন কোম্পানিতে সফলভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ন্যূনতম মজুরি কাঠামো অনুযায়ী তাদের বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিটি। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী শিগগিরই তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।

এর আগে, সোমবার আটকে পড়া শ্রমিকরা তাদের দুর্ভোগ আর ক্রমবর্ধমান হতাশার কারণে সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনে জড়ো হন। বাংলাদেশি এই শ্রমিকদের মুখপাত্র আব্রাহাম বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে আসার পর তাদের চাকরি বা গত চার মাসে কোনো ধরনের ভাতা দেওয়া হয়নি।

আব্রাহাম বলেন, ‘তারা এখানে এসেছিল। কারণ তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা নেই। যে জায়গায় তাদের থাকতে বলা হয়েছিল, সেখানে সঠিক স্যানিটেশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। এই শ্রমিকদের অবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়া তাদের কোনো কাজ নেই, টাকা নেই এবং বেঁচে থাকার জন্য কোনো খাবারও নেই।’

আব্রাহামের মতে, প্রায় ৬০০ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক চারটি কোম্পানির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় এসেছে। দেশটির গেন্টিং হাইল্যান্ড এলাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ দেওয়ার কথা ছিল তাদের।

মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈধভাবে আসার পর কোনো চাকরি না পেয়ে যে শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন, তাদের এই দেশে নিয়ে আসা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগে জড়িত নিয়োগকারী এসব কোম্পানির লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা অভিবাসী কর্মীদের নিয়োগের জন্য সরকারি কোটা ও লাইসেন্সের অপব্যবহারকারী নিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার পর চাকরি না দেওয়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ।