লাল-সবুজে আলোকিত ব্রিসবেনের দুটি সেতু

Looks like you've blocked notifications!
লাল-সবুজে আলোকিত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনের স্টোরি সেতু। ছবি : সংগৃহীত

ব্রিসবেন নদীর দুটি সেতু। স্টোরি ও ভিক্টোরিয়া। দুটিই সাজে লাল সবুজের পতাকার রঙে। দেখলে মনে হবে, এ যেন একখণ্ড লাল-সবুজের বাংলাদেশ। আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনে এ দৃশ্য দেখা যায়।

দুটি সেতুর কাঠামোয় লাল-সবুজের বাতি জ্বেলে আলোকিত করা হয়। লাল-সবুজের আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয় ব্রিসবেনের পানির নিচেও। পুরো স্থানটি সেজে ওঠে লাল-সবুজের আবহে।

অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন (ব্যাব) নামের একটি সংগঠন এই আয়োজনটি করেছে।

লাল-সবুজে আলোকিত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনের স্টোরি সেতু। ছবি : সংগৃহীত

সংগঠনটি বলছে, ব্রিসবেনে লাল-সবুজের আলো জ্বলে উঠেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাত্রি। স্মরণ করেছি লাখ লাখ শহীদ ও মা-বোনদের, যাঁরা হানাদার বাহিনীর কাছে দীর্ঘ নয় মাস অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হয়েছেন। তাঁদের মহান আত্মত্যাগের জন্য আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। স্মরণ করেছি আমাদের ৫০তম মহান স্বাধীনতা দিবসকে। দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও বাংলাদেশকে তুলে ধরার একটি চমৎকার সুযোগ এই উদ্যোগ।

অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেনের সাধারণ সম্পাদক তাহসিন আলী জানিয়েছেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে ব্রিসবেনের স্টোরি সেতু ও ভিক্টোরিয়া সেতুর মূল স্থাপনা আলোকিত করা হয়েছে বাংলাদেশের পতাকার রঙে। লাল সবুজের আলোকছটায় সবাই মিলে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়েছে আমাদের সূর্য সন্তানদের। এই উদ্যোগ সরাসরি তত্ত্বাবধান ও অর্থায়ন করেছে ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিল।

লাল-সবুজে আলোকিত অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনের ভিক্টোরিয়া সেতু। ছবি : সংগৃহীত

তাহসিন আলী আরো জানিয়েছেন, এ ছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৬ মার্চ ব্রিসবেনের প্রাণকেন্দ্র ব্রিসবেন টাউন হলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হবে। এর আগে গত শনিবার শহরের প্রাণকেন্দ্রে উন্মুক্ত পরিসরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো স্থানীয় সরকারের সহায়তায় এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন (ব্যাব) কার্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ। এ উদ্যোগের মূল কনসেপ্ট ও নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. যীশু দাস গুপ্ত।