জার্মানিতে আছে দক্ষ তরুণদের কাজের সুযোগ

Looks like you've blocked notifications!
নিজ যোগ্যতা ও পরিশ্রমে এ পর্যন্ত এসেছেন সিরাজুল মজিদ মামুন। তাঁর বিশ্বাস, বাংলাদেশের তরুণদের আছে অপার সম্ভাবনা। ছবি : সংগৃহীত

কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বা কারিগরি খাত নয়, এর বাইরেও চাকরির সুযোগ আছে জার্মানিতে। বিশেষ করে মার্কেটিং ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের মতো জায়গায় চাকরির সুযোগ অনেক ওই দেশে। আর বাংলাদেশের তরুণদেরও আছে যথেষ্ট সম্ভাবনা।

জার্মানির হামবুর্গে এয়ারবাসের একজন কর্মকর্তা বাংলাদেশের মো. মামুন সিরাজুল মজিদ। ওই প্রতিষ্ঠানের কমার্শিয়াল বিভাগে কাজ করছেন তিনি। সিরাজুল মজিদই জানালেন, নিজ যোগ্যতা দিয়েই বাংলাদেশের তরুণরা জার্মানিতে কাজে সুযোগ পেতে পারে।

সিরাজুল মজিদ বলেন, ‘নন-আইটি বা নন টেকনিক্যাল খাতে প্রচুর চাকরি আছে জার্মানিতে। কিন্তু সেটি পেতে হলে আপনার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জার্মান ও ইংরেজি ভাষা জ্ঞান।’

সিরাজুল মজিদ জানান, মার্কেটিং বা সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে পড়াশোনা থাকলে পাশাপাশি ভালো একাডেমিক দক্ষতা থাকলে জার্মানিতে সহজেই কাজ পাওয়া যায়। তিনি জানান, নন আইটি খাতে জার্মানিতে প্রচুর চাকরি আছে।  

এয়ারবাস বিশ্বের অন্যতম বিমান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় ফ্রান্সে। সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি কর্মী এয়ারবাসে চাকরি করেন। এয়ারবাসের বিমান বেশ কয়েকটি দেশে উৎপাদন করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো জার্মানি।

মামুন সিরাজুল মজিদ জানান, এয়ারবাসের ট্যাক্টিক্যাল এবং কমার্শিয়াল বিভাগের কাজ হচ্ছে একটি বিমানের যন্ত্রাংশ ক্রয় থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত। ক্রেতাদের মধ্যে আছে এমিরেটস এয়ারলাইনস, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ইত্যাদি। হামবুর্গের এই কার্যালয়ে আছে বিমানের যন্ত্রাংশ রাখার বিশাল গুদাম। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী বিমান এয়ারবাস-৩৮০-এর চার মিলিয়ন যন্ত্রাংশ এখানে আছে।

সিরাজুল মজিদ আরো জানান, অনেক সময় বিমানের একটি যন্ত্রাংশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরবরাহ করতে হয়। হামবুর্গের এয়ারপোর্টে এয়ারবাসের কার্যালয় থাকায় যন্ত্রাংশটি খুব সহজেই ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।

এয়ারবাসের হার্মবুগের এই কার্যালয়ে মামুনই একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে কাজ করছে। তবে এখানে অসংখ্য ভারতীয় আছেন।  

মামুন বলেন, ‘আমি এক বছর ধরে এখানে কাজ করছি, এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি এখানে পাইনি। যদি আরো বাংলাদেশি এখানে কাজ করত তাহলে আরো বেশি ভালো লাগত এবং সখ্যও বাড়ত। এখানে বেশ কিছু ভারতীয় সহকর্মী রয়েছে। তাদের সঙ্গে দুপুরের খাবারের সময় দেখা হয়। আমার আশা, বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতে অনেক ছেলেমেয়ে আসবে এবং এয়ারবাসে কাজ করবে।’

এয়ারবাসে যোগ দেওয়ার আগে জার্মানিতে পণ্য এবং সেবার ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন মামুন। এয়ারবাসে যোগ দেওয়ার আগে মামুন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি রেকিট বেনকিজার ও পো-চেন করপোরেশনে কাজ করেছেন।

এরপর মামুন জার্মানিতে অ্যাডিডাস গ্রুপে ও ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিসে (ইউপিএস) কাজ করেছেন। সিরাজুল মজিদ মামুন বাংলাদেশ নেভি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট থেকে বিবিএ করেন।

এরপর জার্মানি এবং স্পেন থেকে আন্তর্জাতিক পণ্য ও সেবা ব্যবস্থাপনার ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি।